সহগল ও অনুব্রত। ফাইল চিত্র।
গরু পাচার-কাণ্ডে ধৃত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের স্ত্রী ও মা-কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। । জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ইডির সমনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে সহগলের স্ত্রী ও মায়ের নামে সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সম্পত্তির উৎস কী, এ ব্যাপারে জানতেই সহগলের স্ত্রী ও মাকে তলব বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে কবে নাগাদ তাঁদের ডাকা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। ইডি সূত্রে দাবি, সহগলের স্ত্রী ও মায়ের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। সহগলের গ্রেফতারের পর সেই সম্পত্তির লেনদেন করতে চেয়েছিলেন বলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে, আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দাবি করেছিল, সহগল ও তাঁর পরিবারের নামে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, অনুব্রত, সহগল ছাড়াও গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকা আরও অনেকের কাছে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন অনুব্রতের দেহরক্ষী। পরে তাঁর ঠাঁই হয়েছে জেলে। এই মামলায় পরে গ্রেফতার হন অনুব্রতও। দু’জনেই এই মুহূর্তে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন।
গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে তৃণমূলে দাপুটে নেতা অনুব্রতের নামেও একাধিক সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। অনুব্রতর একাধিক ঘনিষ্ঠের নামেও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, তৃণমূল নেতার প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও কন্যা সুকন্যার নামেও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। বোলপুর এলাকায় একাধিক চালকলও নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের।
ক’দিন আগেই অনুব্রত-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বোলপুরে নিচুপট্টিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের দল। প্রায় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বয়ান রেকর্ড করা হয় সুকন্যার। চালকলে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর পর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগলের মা ও বোনকে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তলব এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল।