তৃণমূলকে আক্রমণ সিপিএমের। প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোটবার্তা নিয়ে আগামী ২৫ তারিখ হরিয়ানার ফতেহবাদ-এ যাচ্ছেন দলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের (আইএনএলডি) প্রতিষ্ঠাতা দেবীলালের জন্মতিথি উপলক্ষে সেখানে বিজেপি বিরোধী একটি জনসভার আয়োজন করেছেন ওমপ্রকাশ চৌটালা। আমন্ত্রণ ছিল মমতার। কিন্তু সে দিন মহালয়া। রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, প্রতিনিধি হিসাবে যাবেন সুখেন্দুশেখর।
ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা এসপি-র অখিলেশ যাদব, টিআরএস-এর কে চন্দ্রশেখর রাও, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি প্রমুখের। কিন্তু ওই বৈঠকে পৌঁছনোর আগেই সিপিএমের নেতার সঙ্গে বাগযুদ্ধে অবতীর্ণ তৃণমূল প্রতিনিধি। সম্প্রতি সীতারাম বলেছিলেন, তৃণমূলকে তাঁদের জোটে প্রয়োজন নেই। আজ সুখেন্দুশেখরের পাল্টা, “উনি ভাবলেন কী করে তৃণমূল ওদের সঙ্গে জোটে যাবে? ওদের জোটের ধরণটাই বা কী? কেরলে তো কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেছেন, সিপিএম বিজেপির ‘বি’ দল। আবার পশ্চিমবঙ্গে দেখা যাচ্ছে সিপিএম কংগ্রেস যৌথ ভাবে বিজেপির ‘বি’ দল!” তাঁর কথায়, “রাজনীতিতে কেউ শেষ হয়ে যাওয়া দলকে ছোঁয় না। আমরা শূন্যপন্থী নই! পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের আসন সংখ্যা কত?”
তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদের বক্তব্য, “নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-বিরোধী সর্বভারতীয় জোট প্রসঙ্গে যা বলেছেন, তা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক। তাঁর পরামর্শ, যে দল যে রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশ্নে সবচেয়ে শক্তিশালী, সেখানে সে লড়াই করুক। বাকিরা পাশে থেকে সহায়তা করবে। ভোটের পর দেখা যাবে কে কত আসন পেল। তখন একজোট হয়ে সরকার গড়ার চেষ্টা করা যেতে পারে।” সুখেন্দুশেখরের যুক্তি, ১৯৭৭ সালে জনতা দলের জোট ছাড়া বেশির ভাগ জোট সরকারই হয়েছে ভোট পরবর্তী সমঝোতার ভিত্তিতে। এ বারেও তা হতে পারে। জাঠ বলয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এ বার্তাই দেবেন তিনি।