অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।
গরু পাচার মামলায় আরও ১১ দিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার এই নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের সিবিআই আদালত।
শুক্রবার অনুব্রতের ৩ দিন ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে বিচারকের নির্দেশ, আগামী ২১ মার্চ অনুব্রতকে আবার আদালতে হাজির করাতে হবে।
ইডি সূত্রে খবর, হেফাজতে নেওয়ার পর এই ৩ দিনে অনুব্রতকে বিশেষ জেরা করে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাই, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই তৃণমূল নেতাকে আরও কয়েক দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছিল। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে খবর, গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে নথি এসেছে, তার ভিত্তিতে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। চক্রের ‘মাথা’ এনামুল হক, দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য ও নথি পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই অনুব্রতকে জেরা করার প্রয়োজন। বিশেষ করে অনুব্রতের বিপুল সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তা নথি দেখিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে বলেই দাবি ওই সূত্রের।
ঘটনাচক্রে, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। ডাকা হয়েছে অনুব্রতের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ বেশ কয়েক জনকে। ইডি সূত্রে দাবি, অনুব্রত ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এর আগে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর সুকন্যাকে দিল্লিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সিবিআই সূত্রের দাবি, সেই সময় বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনিও প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক দিতে পারবেন। ইডির তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রহস্যের জট অনেকটাই খুলতে পারে। এই পরিকল্পনার জন্য অনুব্রতের ইডি হেফাজতের মেয়াদবৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীদের একাংশ।