মেজাজে: দলীয় বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
অসুস্থতার জেরে দীর্ঘ দিন আড়ালে থাকার পরে সোমবার জনসমক্ষে ফিরেই স্বমহিমায় অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা কমিটির এক বৈঠকে পুরনো মেজাজেই তৃণমূলের জেলা সভাপতির হুঙ্কার— ‘‘১৫ দিনের মধ্যে কুড়ি হাজার বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলে যোগদান করাব। না হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’
লোকসভা ভোটের পর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনুব্রত। কয়েক দিন ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসকের পরামর্শে এত দিন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। যেতে পারেননি ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশও। দলীয় সূত্রে খবর, এত দিন বাড়িতে থাকলেও জেলায় দলের বিভিন্ন কর্মসূচির উপর নজর রেখেছিলেন তিনি। কিছুটা সুস্থ হতেই রবিবার বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। জেলার নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তার পরেই সোমবার জেলা কমিটির বৈঠক ডাকেন। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ সহ জেলায় দলের বিধায়ক, পুরপ্রধান, কাউন্সিলরেরা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিন জেলা কমিটির বৈঠকের আগে কয়েক দিন আগে বিজেপিতে শামিল ময়ূরেশ্বরের ডাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণী গোস্বামী সহ তিন পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অনুব্রত। বিজেপি থেকে ফের শাসক দলে যোগ দিয়ে তিমির গোস্বামী বলেন, ‘‘তৃণমূলের পতাকা ধরে ক্ষমা চাইছি। বিজেপিতে গিয়ে যে ভুল করেছি, আর কেউ তা করবেন না।’’
অনুব্রত বলেন, ‘‘ভুল করার পরে কেউ যদি তা সংশোধন করবেন বলেন, সে ক্ষেত্রে তাঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বোলপুর থেকে মুরারই, মুরারই থেকে নলহাটি অন্তত কুড়ি হাজার বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলে যোগদান করাব। না হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’ তিনি জানান, লোকসভা ভোটের পরে এক দিনও জেলা কমিটির বৈঠক করা হয়নি। তাঁর অসুস্থতার কারণেও বৈঠক পিছিয়ে গিয়েছিল। তাই এ দিন জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়।