মেয়েকে নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত। ফাইল চিত্র।
কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের চাকরি-বিতর্কে এই প্রথম বার মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন সুকন্যা। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তিনি বললেন, ‘‘আমার মেয়ে ভাল আছে। আমার মেয়ের পাশ করা আছে। সার্টিফিকেট আছে। চিন্তার কারণ নেই’’
অনুব্রতকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল সিবিআই। হাসপাতালে যাওয়ার পথে একটি টিভি চ্যানেলকে মেয়ের চাকরি-বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘যা বোঝার আদালত বুঝবে। তলব করেনি মেয়েকে। নথি জমা দিতে বলেছে।’’
গরুপাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারের পর কলকাতা হাই কোর্টে তাঁর কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, টেট না দিয়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। তাঁর নামের ফেসবুক প্রোফাইলও বলছে, তিনি একই সঙ্গে দু’টি চাকরি করেন। একটি সরকারি, অন্যটি বেসরকারি। হাইকোর্টে বুধবার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে সুকন্যার চাকরির বিষয়টি আদালতকে জানান। সেটা শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে সুকন্যাকে কলকাতা হাই কোর্টে ডেকে পাঠান।বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে কলকাতায় এসেছেন সুকন্যা।
বুধবার অনুব্রতের বোলপুরের বাড়িতে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল সিবিআই। তবে তদন্তকারীদের সঙ্গে সুকন্যা কথা বলতে চাননি বলে সিবিআই সূত্রে জানা যায়। এর পরেই কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জমা পড়ে যে টেটে উত্তীর্ণ না হয়েও প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়ে যান সুকন্যা। এমনকি, চাকরি পাওয়ার পর একদিনও স্কুলে যাননি অনুব্রত-কন্যা। হাজিরার জন্য তাঁর বাড়িতেই নাকি রেজিস্টার পাঠানো হত। এই বিতর্কের পর যেভাবে মুখ খুললেন অনুব্রত, তাতে এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল। বস্তুত, গ্রেফতারের পর মুখে কার্যত ‘কুলুপ’ এঁটেছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা।
অনুব্রতের গ্রেফতারির পর সম্প্রতি তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে বীরভূমের ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ নেতা বলেছেন, ‘‘নেত্রী ভাল বলেছেন, দিদি তো পাশে থাকবেনই।’’