মঞ্চে: বোলপুরে কর্মিসভায় অনুব্রত মণ্ডল। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
স্কুলের অনুষ্ঠানে এসে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কটাক্ষ করলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শতাব্দী প্রাচীন একটি ভবনের সংস্কার কাজের পরে দ্বারোদ্ঘাটন ও স্কুল প্রাঙ্গণে রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনের পরে অনুব্রত বলেন, ‘‘বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে স্মরণে রাখতে মূর্তি স্থাপন করছে। আর বিশ্বভারতীতে এক জন উপাচার্য এসেছেন, যিনি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ছেলেখেলা করছেন, রবীন্দ্রনাথকেই মুছে দিতে চাইছেন!’’
পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতী ও শাসকদলের মধ্যে সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। গত ১৭ অগস্ট মেলামাঠের নির্মীয়মাণ পাঁচিল ভেঙে দেয় উত্তেজিত জনতা। বিশ্বভারতীর তরফে তৃণমূলের বিধায়ক ও বিদায়ী কাউন্সিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অনেক নেতা মুখ খুলেছেন। কিন্তু, এই পাঁচিল-পর্বে অনুব্রতকে সে ভাবে কখনও উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু বলতে শোনা যায়নি। এ দিন অবশ্য তিনি সরাসরিই সমালোচনা করেন উপাচার্যের। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চেয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিককে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় সাধু জানান, শিক্ষা দফতরের অনুদান থেকে ৩৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অর্থসাহায্যে এই বিদ্যালয়ের জীর্ণ ভবনটির সংস্কার করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫-’১৬ সালে এই স্কুলে এসেছিলেন। তিনি সে দিন ছাত্রদের তাঁর জাপান ভ্রমণের কাহিনি শুনিয়েছিলেন। সেই ঘটনার স্মারক হিসাবে এ দিন স্কুল প্রাঙ্গণে রবীন্দ্র-মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।