সিবিআই জেরার মুখে সহগল (বাঁ দিকে) এবং অনুব্রত (ডান দিকে)।
জেরায় যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল! তাঁর সঙ্গী সহগল হোসেনও একই পথে হাঁটছেন। মঙ্গলবার আসানসোল জেলে গিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা জেরা করেন ওই দু’জনকে। তার পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্র এমনটাই দাবি করেছে।
গরু পাচার-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে। তার আগে যদিও তাঁর দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে গ্রেফতার করে তারা। মঙ্গলবার তাঁদের জেরা করতে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, আগের মতো মঙ্গলবারও সে ভাবে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি অনুব্রত এবং সহগল। যদিও আগের থেকে তাঁদের দু’জনের আচরণ অনেকটাই ‘নরম’ বলেই দাবি ওই সূত্রের।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সহগলকে প্রায় ১৪টি প্রশ্ন করেন ওই গোয়েন্দা। অন্য দিকে, অনুব্রতকে করা হয় ২০টি প্রশ্ন। গত কয়েক দিন ধরে অনুব্রত এবং সহগলের যে সব সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি নিয়েই মূলত প্রশ্ন ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সূত্রের খবর, কোনও প্রশ্নেরই ঠিকঠাক উত্তর দেননি ওঁরা দু’জনে।
বুধবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে শুনানি রয়েছে অনুব্রতের। বিচারকের কাছে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে সিবিআই সূত্রের দাবি, জামিনের ওই আবেদনের বিরোধিতা করবেন তাদের আইনজীবী।
বুধবার অনুব্রতের হাজিরা রয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালতে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১০টায় তাঁকে সংশোধনাগার থেকে বার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড লাগানোর কাজ শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, আসানসোল সংশোধনাগারের পক্ষে অনুব্রতের ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করেছিলেন জেল সুপার কৃপাময় নন্দী। তবে সংশোধনাগারে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের ব্যবস্থা থাকলেও আদালতে সে রকম কোনও ব্যবস্থা নেই বলেই সূত্রের খবর। তাই অনুব্রতকে সশরীরে হাজির থাকতে হবে বলে জানা গিয়েছে জেল সূত্রে।