অনুব্রত মণ্ডল।—ফাইল চিত্র
দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্লক সভাপতি নারায়ণপ্রসাদ চন্দ্রের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জটিল মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চর্চা ছিল বলে খবর তৃণমূল সূত্রেই। তা নিয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল রবিবারের সভায় কিছু বলেন কি না তা নিয়ে জল্পনা ছিল। তবে সেই জল্পনায় কার্যত ‘জল ঢেলে’ জটিল-আশিসকে নিয়ে কোটাসুরে এক মঞ্চে সভা করলেন অনুব্রত। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না তিনি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলায় জটিলের সঙ্গে আশিসের গোষ্ঠীবিবাদের কথা কারও অজানা নেই। নভেম্বর মাসে মল্লারপুরে এক দলীয় সভায় জটিলকে দল ভাঙার জন্য দায়ী করে সরব হন আশিসবাবুর এক অনুগামী। জটিলবাবুর অনুগামীরা প্রতিবাদ করেন। পরিস্থিতির সামাল দিতে অনুব্রতকে হাত জোর করে কর্মীদের থামাতে হয়। পরদিন বোলপুরের কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন তিনি। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির ২১ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জন জটিলের নেতৃত্বে অনীহা প্রকাশ করে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তাদের ক্ষোভ প্রশমন করতে জটিলকে ৬ মাসের জন্য ছুটি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জটিল আজও সেই নির্দেশ মানেননি। তাই সম্প্রতি তাঁর নেতৃত্বাধীন এনআরসি ও সিএএ বিরোধী মিছিল বয়কট করেন আশিস ও তাঁর অনুগামীরা।
এ দিন কোটাসুর স্কুল মাঠে সভা ছিল অনুব্রতর। অনেকেই ভেবেছিলেন অনুব্রতর মুখে জটিল-আশিসের সম্পর্কে কিছু শোনা যাবে। কিন্তু অনুব্রত এ দিনের সভায় সে সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি। সিএএ, এনআরসি-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেন অনুব্রত। সেই সঙ্গেই অনুব্রত জানিয়ে দেন, ‘‘সপ্তাহে চার দিন রেশন সামগ্রী দিতে হবে৷ যদি কোনও রেশন ডিলার তা না দেন তা হলে তাঁকে জেল খাটতে হবে।’’ এ দিনের সভায় অন্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন দলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক অভিজিৎ রায়, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী প্রমুখ।