Kamarhati Viral Video

অন্ধকার ঘরে চলছে পিস্তল চালানোর প্রশিক্ষণ! এ বার কামারহাটির জয়ন্ত গ্যাংয়ের আর এক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে

কামারহাটির আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে জয়ন্ত সিংহের অনুগামীকে পিস্তল চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৪:১১
Share:

কামারহাটিতে পিস্তল প্রশিক্ষণের দৃশ্য। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

কামারহাটির জয়ন্ত সিংহের অনুগামীদের আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে। এ বার অন্ধকার ঘরে তাঁদের পিস্তল চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেল। ভিডিয়োয় জয়ন্তকেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি অনেকের। এ ছাড়াও রয়েছেন তাঁর অনুগামী বাপ্পা নামের এক ব্যক্তিও (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)

Advertisement

সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি অন্ধকার ঘরে দেওয়ালের দিকে মুখ করে দু’জন দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের এক জনের হাতে পিস্তল। সেই পিস্তল তিনি অন্য জনের হাতে তুলে দিচ্ছেন। কী ভাবে পিস্তল চালাতে হয়, তা শেখানো হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে। পিছনে দাঁড়ানো কেউ ভিডিয়োটি রেকর্ড করছিলেন। দেখা যায়, দ্বিতীয় ব্যক্তি পিস্তল হাতে পাওয়ার পর পিছন ঘুরেছেন। ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ে তিনি আপত্তি করছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে ভিডিয়োটিতে কোনও শব্দ নেই। ফলে কে কী বলছেন, তা স্পষ্ট নয়।

স্থানীয় সূত্রে দাবি, যাঁর হাতে পিস্তল তুলে দেওয়া হয়েছে, তিনি বাপ্পা। জয়ন্তের সঙ্গী হিসাবে এলাকায় তিনি পরিচিত। তবে বাঁ দিকে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন এবং পিস্তল হাতে তুলে দিচ্ছেন, তাঁর মুখ দেখা যায়নি। তাই তিনি জয়ন্ত কি না, তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

কিছু দিন আগে আড়িয়াদহে এক মহিলা এবং তাঁর পুত্রকে মারধরের ঘটনায় জয়ন্তের নাম উঠে আসে। দুই যুবকের বচসায় তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা ঢুকে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। মহিলা এবং তাঁর পুত্রকে রাস্তায় ফেলে হকি স্টিক, লাঠি, ইট দিয়ে মারধর করা হয়। সেই ঘটনার পর জয়ন্ত এবং তাঁর অনুগামীদের অনেককেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর পর সোমবার রাতে বিজেপির তরফে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, ক্লাবঘরের মধ্যে চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে এক জনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। (সেই ভিডিয়োর সত্যতাও যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) । তবে তৃণমূল জানিয়েছে, ভিডিয়োটি তিন বছরের পুরনো। তাতে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন এখন জেলে। এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement