সোমবার নওশাদ সিদ্দিকিকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোট হলে আরও এক জন বিরোধী নেতা বিধানসভায় যেতে পারবেন। সোমবার এমনই দাবি করলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। যদিও সাগরদিঘিতে স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোট হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তৃণমূলের নাম না করলেও তাঁর ইঙ্গিত যে শাসকদলের দিকেই, তা স্পষ্ট।
২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ-সহ বহু কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভাঙড়ে তাঁদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে ওই কর্মসূচির পালন করছিলেন নওশাদরা। সে সময় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের। ওই ঘটনায় নওশাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। লেদার কমপ্লেক্স থানার ১৩ নম্বর কেসে সোমবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে ঢোকার মুখে সাগরদিঘি উপনির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন করেন নওশাদ। বলেন, ‘‘ভোট হতে দেবে তো?’’ এর পরেই নওশাদের দাবি, ‘‘(সাগরদিঘিতে) ঠিকঠাক ভোট হলে, মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন, আমার মতো আরও এক জন বিরোধী বিধানসভায় যাবেন।’’
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সোমবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তাতে লড়াই মূলত তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির দিলীপ সাহা এবং কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাসের মধ্যে। ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিরুদ্ধে জোরজুলুমের অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। বায়রনের দাবি, সকালে ২১০ ও ২১১ নম্বর বুধ ঢুকতে তাঁকে বাধা দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। অন্য দিকে, ভোটগ্রহণের সময় ৪৮ নম্বর বুথে বোরখা পরে এক বহিরাগত প্রবেশ করেছেন বলেও দাবি বিরোধীদের।