প্রতীকী ছবি।
সুন্দরবনে ফের বাঘের শিকার হলেন এক মৎস্যজীবী। এই নিয়ে পর পর তিন দিনে তিন জন।
মঙ্গলবার সকালে বসিরহাট রেঞ্জের বাগনা বিটের অন্তর্গত ঝিলা-৪ কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার সময় চিত্ত সরকার (৪০) নামে ওই মৎস্যজীবীকে বাঘ টেনে নিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত তাঁর দেহের সন্ধান মেলেনি।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে ঝিলা-১ কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার সময় অরবিন্দ বিশ্বাস নামে কুমিরমারির বাসিন্দা এক মৎস্যজীবীকে বাঘ টেনে নিয়ে গিয়েছিল। পরে বনকর্মীরা তাঁর দেহ উদ্ধার করেন। অন্য দিকে, সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের অন্তর্গত বেনিফেলির জঙ্গলে বাঘের হামলার গুরুতর জখম হন মৎস্যজীবী শঙ্কর সর্দার। মঙ্গলবার ভোররাতে কুলতিলর বাসিন্দা শঙ্করের হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চিত্ত সরকারের বাড়ি গোসাবা ব্লকের লাহিড়ীপুর গ্রামপঞ্চায়েতের পরশমণি গ্রামের পূর্বপাড়ায়। মঙ্গলবার সকালে ঝিলার-৪ নম্বর জঙ্গলের ভাইজোড়া খালের কাছে নেমে কাঁকড়া ধরার সময় হঠাৎই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাঘ। সঙ্গী সুবল মণ্ডল ও সুব্রত কয়াল তাঁকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঘের শক্তির সামনে দু’জনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ওই মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় বাঘ। এরপর খবর দেওয়া হয় সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ঝিলার বিট অফিসে। কিন্তু বন দফতরের কর্মীরা সেখানে গিয়ে চিত্তের দেহের সন্ধান পাননি। রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি তাঁর।
সুন্দরবনে সাম্প্রতিককালে তিন দিনের মধ্যে বাঘের হামলার তিনটি পৃথক ঘটনার তিন জনের মৃত্যুর নজির নেই বলে জানাচ্ছেন বনকর্মীদের একাংশ।