গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
এলগিন রোডের বাড়ি থেকে সেদিন ওয়ান্ডারার্স গাড়িটি যদি নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যেতে না পারত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রমের ইতিহাস হয়ত অন্য ভাবেই লেখা হত। ১৯৪১ সালের ১৬ জানুয়ারি বসু বাড়িতে ঘটেছিল সেই ঘটনা ইতিহাসে যা মহানিষ্ক্রমণ নামে খ্যাত। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম বার্ষিকীর প্রাক্কালে তাঁকে নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন নেতাজি-কন্যা অনিতা বসু পাফ এবং ভ্রাতুষ্পৌত্র সুগত বসু।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বর্ণময় ব্যক্তিত্ব নেতাজির জীবন নিয়ে বাঙালি তো বটেই সারা বিশ্বেই কৌতূহল রয়েছে। তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও দিক নিয়ে আলোচনার এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জার্মানির মিউনিখ শহরের বাঙালি সংগঠন ‘সম্প্রীতি মিউনিখ’। ২০২১ থেকে এক বছর ধরে প্রতি মাসেই তারা আয়োজন করছেন ‘অনিতা ডায়লগস’ নামে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান। আজই বর্ষব্যাপী সেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে। সংস্থার সভাপতি শৈবাল গিরি জানালেন, ‘‘এক বছর ধরে আমরা চেষ্টা করেছি নেতাজির জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যে যে মাসে ঘটেছিল সেগুলি নিয়ে সেই মাসগুলিতেই সেই নিয়ে আলোচনা করার। আমাদের প্রচেষ্টা ছিল নেতাজি জীবনের মাইলফলক বিষয়গুলিতে বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরা।’’
এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে হাজির হয়েছেন, বিশিষ্ট নেতাজি গবেষক লিওনার্ড গর্ডন। গর্ডন নেতাজির জীবনীগ্রন্থেরও লেখক। তিনিই প্রথম তাইহোকু দুর্ঘটনায় জীবিতদের সাক্ষাৎকার নেন এবং বিশ্বের সামনে আনেন সেই তথ্য। এসেছেন অস্ট্রিয়ার রাজনৈতিক গবেষক অ্যান্টন পেলিনকা, ইতিহাসবিদ রুদ্রাংশু মুখোপাধ্যায়, রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের সদস্য ভারতী আশা চৌধুরি-সহ আরও অনেকে। প্রতিটি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন অনিতা।
বিমান দুর্ঘটনার এত বছর পরেও নেতাজিকে নিয়ে বাঙালির কৌতূহল শেষ হয়নি। রবিবারের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সুগত বসু এবং অনিতা দর্শক শ্রোতাদের সেই সমস্ত কৌতূহল নিরসনের চেষ্টা করবেন। অনুষ্ঠানটি ফেসবুক এবং ইউটিউবে দেখা যাবে, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায়। জার্মানির স্থানীয় সময় বিকেল ৪টেয়।
ইউটিউব লিংক— www.youtube.com/c/SampritiMunich
ফেসবুক লিংক— www.facebook.com/sampritimunich