বৃষ্টিতে ভোট প্রচারে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। —নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পঞ্চায়েত স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা একা নন, গ্রামের উন্নয়নের কাজের পরিকল্পনা ও দিশা দেখাবে ‘গ্রামীণ পরামর্শদাতা কমিটি’। মঙ্গলবার সেবকে ভোটের প্রচারে এমন কমিটি তৈরির ঘোষণা করেছেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর (জিটিএ) প্রধান অনীত থাপা।
গ্রামের উন্নয়নের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করে কাজ করে গ্রাম সংসদ। সেখান থেকে নানা প্রস্তাব পঞ্চায়েত স্তরে নিয়ে যান জনপ্রতিনিধিরা। এই প্রক্রিয়ার বাইরে নতুন এ বার একটি পরামর্শদাতা কমিটির কথা বলেছেন অনীত। তাঁর দাবি, একটি থেকে পাঁচটি গ্রামকে এক করে, গ্রামের প্রবীণ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কমিটি তৈরি হবে। যদিও বিরোধীরা বলেছেন, ‘‘সবই অনীতের ভোটের প্রচারে গিমিক। বাস্তবে তেমন কিছু হবে না।’’ বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেছেন, ‘‘এ বার ভোটে অনীতের কারসাজি মানুষ ঠেকিয়ে দেবে।’’
জিটিএ প্রধানের কথায়, ‘‘জিটিএ-র সঙ্গে তাল মিলিয়ে পঞ্চায়েত স্তরেও উন্নয়নের কাজ করতে হবে। আমরা একটি পরামর্শদাতা কমিটির কথা ভাবছি। পঞ্চায়েত সদস্য বা পঞ্চায়েত সমিতির কয়েক জন সদস্যের এলাকা মিলিয়ে একটি করে কমিটি তৈরি থাকবে। তাঁরাই ওই এলাকার উন্নয়নের কাজ পরিকল্পনা, তদারকি করবে।’’
প্রচারে দলের প্রার্থীদের বার্তা দিয়েছেন অনীত। জয় নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত বলে দাবি করে তিনি প্রার্থীদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আপনাদের খাদা, মালা পরে এখ ন প্রচার করতে, ঘুরতে হয়তো ভাল লাগছে। কিন্তু কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত হন। জেতার পরে, প্রয়োজনে, মানুষ রাত ১২টা, ভোর ৩টেয় আপানাদের ডেকে ওঠাবে। খাওয়া, ঘুমের সময় ঠিক থাকবে না।’’
সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেবক, কার্শিয়াং, মালদিরামের মত পাহাড়ি এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন অনীত। আগামী ১১ জুলাই ভোটের ফলাফল নিয়ে উৎসাহিত দলীয় নেতা কর্মীদেরও তিনি এ দিন বার্তা দিয়েছেন। অনীত জানান, পাহাড়়ের সব জায়গায় ১১ জুলাই থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। রাস্তা আটকে, যানজট করে মানুষের অসুবিধা করে কোনও মিছিল, মিটিং হবে না। বিশেষত, সেবকের মতো এলাকায় রাস্তা যাতে আটকে উল্লাস না হয়, তা দেখার জন্য এখন থেকেই বলা হচ্ছে।
পাহাড়ের নেতারা মনে করছেন, পরামর্শদাতা কমিটির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধির উপরে নজরদারি শুধু নয়, দলীর সংগঠনকে মজবুত রাখার পরিকল্পনাও নিয়েছেন অনীত।