TMC leader murder

তমলুক আদালতে শুরু হল তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত আনিসুরের জামিনের শুনানি

২০১৯ সালে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কুরবান শাহকে খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত তৎকালীন বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২১ ১৩:০৫
Share:

আনিসুর রহমান।

পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা কুরবান শাহকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আনিসুর রহমান জামিনের আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার দুপুরে শুরু হয়েছে তমলুক আদালতে। তাঁর আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাতে তৃণমূল সমর্থকদের পরিচালিত কয়েকটি নেটমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এ বার মুক্তি পাবেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আনিসুর।

Advertisement

বুধবার রাতে এমনই একটি টুইটা হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘কাল মুক্তি পাচ্ছেন আমাদের আর এক যোদ্ধা আনিসুর রহমান’। তমলুক জেলে থাকা আনিসুর তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে অনুগামীদের উদ্দেশ্যে বুধবার রাতেই লেখেন, ‘কাল আসল খেলা’। ফলে তিনি সত্যিই জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

এর আগেও আনিসুরের জামিন ঘিরে একাধিক বার নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত মার্চে আনিসুরের উপর থেকে সমস্ত রকম অভিযোগ প্রত্যাহার করেছিল রাজ্য সরকার। তারপরেই তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয় তমলুক আদালত। রায়ের পর বিচারবিভাগীয় অবস্থায় তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনিসুর বাড়ি চলে যান। কিন্তু সেদিনই জামিনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত কুরবানের পরিবার।

Advertisement
আরও পড়ুন:

হাইকোর্ট জামিনের নির্দেশ বাতিল করার পরেই আনিসুরকে পলাতক ঘোষণা করে ফের তাঁকে গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। বিধানসভা ভোটপর্বে অবশ্য তৃণমূলের হয়েই কাজ করতে দেখা গিয়েছে আনিসুর অনুগামীদের।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর পাঁশকুড়ার অদূরে মাইশোরায় তৃণমূলের দলীয় দফতরে গুলি করে খুন করা হয় পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কুরবানকে। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন কুরবান। অন্যদিকে, তার কিছুদিন আগেই ‘মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত আনিসুর বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। আনিসুরকেই ওই খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

গোটা ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে বলে আগেও দাবি করেছিলেন আনিসুর। সম্প্রতি ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘আমি এখনও বলছি, পূর্ব মেদিনীপুরে রাজনৈতিক মোকাবিলায় আমার সাথে আজন্ম না পারার জ্বালায় ওই মীরজাফর এ সব কুটনৈতিক পন্থায় প্রতিশোধ নিচ্ছিল’। আনিসুরের এই মন্তব্যের ‘নিশানা’ শুভেন্দু বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। জানুয়ারিতে নন্দীগ্রামের তেখালিতে জনসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘আনিসুরকে ফাঁসানো হয়েছে’ বলে দাবি করেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement