শনিবার হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সে একটি কমবয়সি হাতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ধূপগুড়ির এক বেগুনক্ষেতে হাতিটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কী ভাবে হাতিটির মৃত্যু হল তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক অনুমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মারা গিয়েছে হাতিটি।
ধূপগুড়ি ব্লকের মধ্য খট্টিমারি এলাকার ভান্ডারকুড়া গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে ১০-১৫টি হাতির একটি দল খাবারের খোঁজে পাশের মোরাঘাট জঙ্গল থেকে ফসলের ক্ষেতে এসেছিল। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জমির চৌহদ্দিতে লাগানো বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই একটি হাতির মৃত্যু হয়।
এই নিয়ে গত দু’মাসে দু’বার ডুয়ার্সে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর আগে অগস্টে মালবাজারে একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক হাতির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাটিতেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছিল একটি কমবয়সি দাঁতালের।
পশু চিকিৎসকরা জানান, হাতিটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার শুঁড়ে একটি গভীর ক্ষত রয়েছে। বিদ্যুতের তার থেকে এই ধরনের ক্ষত তৈরি হতে পারে। নিজস্ব চিত্র।
শনিবার হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকরা। প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বন দফতরের পশু চিকিৎসকরা জানান, হাতিটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার শুঁড়ে একটি গভীর ক্ষত রয়েছে। বিদ্যুতের তার থেকে এই ধরনের ক্ষত তৈরি হতে পারে। যদিও হাতিটির মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
শনিবার ঘটনাস্থলে ছিলেন বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগ, মোরাঘাট রেঞ্জের আধিকারিক এবং ধূপগুড়ি পুলিশ। জলপাইগুড়ি বন বিভাগের এসিএফ বিপাশা পারুল, জলপাইগুড়ির সাম্মানিক বন্যপ্রাণ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী, বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের বিট অফিসার রাজীব দে উপস্থিত ছিলেন ভান্ডারকুড়ায়।
বিপাশা বলেছেন, ‘‘মধ্য খট্টিমারির ভান্ডারকুড়া এলাকায় একটি হাতির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। বয়স আনুমানিক ১০ থেকে ১২ বছর। সম্ভবত হাতির দলের সঙ্গে সে খাবারের খোঁজে এসেছিল। প্রাথমিক অনুমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে ঠিক কি কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে জমির মালিকের বিরুদ্ধে।’’