অমিত শাহ। ফাইল চিত্র। পিটিআই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় আন্তঃরাজ্য বৈঠকে দেখা হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই আজ, রবিবার কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশ জোড়া নাগরিকত্ব আন্দোলনের আবহে এটাই তাঁর প্রথম কলকাতা সফর। আজ দুপুরে শহিদ মিনার ময়দানে জনসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ব্যাখ্যা করার কথা তাঁর। রাতে দিল্লি রওনা হওয়ার আগে সন্ধ্যায় তাঁর দু’টি দলীয় বৈঠকের কর্মসূচিও রয়েছে। সেখানে থাকার কথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের। শাহের সফরের সক্রিয় বিরোধিতায় পথে নামার ডাক দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস।
গত ১ অক্টোবর শেষ বার কলকাতায় এসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের নেতাদের কাছে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ বলেছিলেন, জনগণের কাছে এনআরসি নিয়ে এখন কথা বলার প্রয়োজনই নেই। প্রচার করতে হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে। তখনও অবশ্য বিলটি সংসদে পাশ হয়নি। কিন্তু আজ বিলটি আইন হওয়ার পরে গণ আন্দোলন চলছে দেশ জুড়ে। তাতে সবচেয়ে বড় মাত্রা যোগ করেছে দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনা। বিরোধীদের মতে যা গণহত্যার সঙ্গে তুলনীয়। এই পরিস্থিতিতে শহরে এসে শাহ সিএএ-র পক্ষে কী যুক্তি দেন, তা নিয়ে কৌতূহলী রাজনৈতিক শিবির।
শহিদ মিনার ময়দানে শাহের সভার জন্য তৈরি হয়েছে দু’টি মঞ্চ। মূল মঞ্চে বসবেন শাহ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বাছাই করা নেতারা। পাশের মঞ্চে বসার কথা দলীয় সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর এবং রাজ্য কমিটির নেতাদের। সভায় কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনছে বিজেপি। পাশাপাশি, সভায় লোক টানতে শনিবার বড়বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে, যদুবাবুর বাজারে দোকানগুলিতে এবং বেহালা ট্রাম ডিপো অঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে ঘুরেছেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। অক্টোবরে নেতাজি ইন্ডোরে শাহের সভা চলাকালীনই হল ফাঁকা হতে শুরু করেছিল। বিজেপির একাংশের মতে, সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই এ বার বাড়তি তৎপর রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সেই কারণেই কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি আম আদমি টানতে পথে নামতে হয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের শীর্ষ নেতাদেরও।