Bizarre News

লটারি জিতেও সাড়ে ১১ কোটি পেলেন না, উল্টে উকিল-আদালতের খরচে নাজেহাল তরুণ

ভাগ্যের পরীক্ষা করবেন বলে ২০১৯ সালে লটারির টিকিট কেটেছিলেন। ভাগ্যের জোরে জিতেও গিয়েছিলেন তিনি। এক কোটি ইউয়ান জিতে ফেলেছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পাঁচ বছর আগে লটারির টিকিট কিনে তরুণ জিতেছিলেন সাড়ে ১১ কোটি টাকা। কিন্তু তার কানাকড়িও পাননি তিনি। বরং পাঁচ বছর পরেও লটারির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ভূরি ভূরি খরচ হচ্ছে তাঁর।

Advertisement

ঘটনাটি ২০১৯ সালে চিনের শিয়াং প্রদেশের। তরুণের নাম ইয়াও। বয়সের অঙ্ক ৪০ পার করেছে তাঁর। বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করে উপার্জন করেন তিনি। মাস গেলে ৩ হাজার ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৫ হাজার টাকা) পারিশ্রমিক পান ইয়াও। ভাগ্যপরীক্ষা করবেন বলে ২০১৯ সালে লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি। ভাগ্যের জোরে জিতেও গিয়েছিলেন। এক কোটি ইউয়ান জিতে ফেলেছিলেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ সাড়ে ১১ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা জিতেও তা হাতে পাননি ইয়াও। বরং সে টাকায় ভাগ বসিয়ে ফেলেন ওয়াং নামের এক ব্যক্তি। ওয়াঙের দাবি, সেই টিকিট জেতেননি ইয়াও। বরং ওয়াঙের ভাইপো গাও নাকি এই টাকার আসল মালিক। ইয়াও যেন এই প্রসঙ্গ নিয়ে কাউকে কিছু না জানান, তাই ক্ষতিপূরণ হিসাবে ইয়াওকে দেড় লক্ষ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা) দেন ওয়াং। কিন্তু ওয়াং এবং গাও মিলে যে ইয়াওকে ঠকিয়েছেন তা পরে বুঝতে পেরে স্থা্নীয় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আদালত ওয়াং এবং গাওকে সব টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাঁরা সব টাকাই খরচ করে ফেলেছিলেন। তাঁদের বাড়ি দখল করে নিলামে ওঠানো হয়। কিন্তু সেই বাড়ি বিক্রি হয়নি। দু’জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তালা লাগিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। সম্প্রতি ইয়াও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এর চেয়ে আগেই ভাল ছিলাম। আগে অন্তত কিছু টাকা হাতে থাকত। এখন আদালত, উকিলের পিছনেই খরচ হয়ে চলেছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement