অমিত শাহের রাজ্য সফর ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক জল্পনা। —ফাইল চিত্র
বিহারের পরেই ‘বঙ্গ অভিযান’-এ নামার কথা বিজেপির। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে বুধবার রাতে রাজ্যে পৌঁছনোর কথা অমিত শাহের। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার তাঁর দু’দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। বুধবার কলকাতায় রাত কাটিয়ে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া থেকে শুরু হবে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। পাশাপাশি, শাহের হাত ধরেই আবার শুরু হচ্ছে ‘মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি’। কলকাতা এবং বাঁকুড়া— দু’জায়গাতেই সেই কর্মসূচি রয়েছে শাহের।
বছর তিনেক আগে উত্তরবঙ্গে মাহালি দম্পতির টিনের বাড়িতে খেয়ে এ রাজ্যে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে জনসংযোগের রীতি চালু করেছিল বিজেপি। পরবর্তীকালে সেই দম্পতি অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কলকাতায় লোকসভা ভোটের আগেও তেমন কর্মসূচি হয়েছিল। এ বার শাহের সফরে কর্মসূচিতে ফিরছে সেই সংস্কৃতি। বাঁকুড়ায় এক আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারার কথা রয়েছে শাহের। একই ভাবে কলকাতায় এক উদ্বাস্তু পরিবারের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা তাঁর। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ওই পরিবারগুলির নাম এখনই প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না বিজেপি।
বিহার ভোটের প্রচারে সে ভাবে দেখা যায়নি প্রাক্তন বিজেপি সভাপতিকে। তার আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোট হয়েছে মঙ্গলবার। তার পরদিনই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কলকাতা থেকে অণ্ডাল হয়ে বাঁকুড়ায় যাবেন। সেখানে হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক আলোচনা সারবেন। বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে ওই বৈঠকে বিধানসভা ভিত্তিক দলের পর্যবেক্ষকরা ছাড়াও জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের থাকার কথা। অমিতের কর্মসূচি রয়েছে বিরসা-মুণ্ডার মূর্তিতে মালা দেওয়ার এবং সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করার। তার পর রাতেই কলকাতা ফেরার কথা তাঁর।
আরও পড়ুন: ‘উইপোকা’ বাংলাদেশ অর্থনীতিতে টপকাচ্ছে ভারতকে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘ক্ষণস্থায়ী’
পরের দিন শুক্রবার কলকাতায় ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে শাহের। সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা তাঁর। তার পর সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজ ছাড়াও রয়েছে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর আলাদা কর্মসূচি। দিনের শেষে দলের কোর কমিটির সঙ্গেও একটি বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা তাঁর। তার ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনার কথা। দিনভর দলীয় কর্মসূচির শেষে রাতেই শাহ নয়াদিল্লি ফিরবেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।
আরও পড়ুন: ‘আপত্তিকর মেসেজ’, রাজারহাটে তৃণমূল নেতাকে জুতোপেটা মহিলাদের