কলকাতায় অমিত শাহ।—নিজস্ব চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর পক্ষে সভা করতে এসে কোনও রাখঢাক না রেখে খোলাখুলি হিন্দুত্বের তাস খেললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার জন্য ব্যবহার করলেন রাম মন্দির হাতিয়ার। বাংলায় যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণই তাঁদের পথ, তা বেশ কিছু দিন ধরেই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতারা। শহিদ মিনার ময়দানে রবিবার জনসভায় শাহও সেই সুরেই বলেন, ‘‘অযোধ্যা, যেখানে প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল, সেখানে একটি ভব্য মন্দির বানানোর জন্য ৫০০ বছর ধরে আমরা লড়ছি। বাংলার জনতা এ বার লোকসভা ভোটে আমাদের ১৮টি আসন দিয়ে আশীর্বাদ করায় মোদীজি দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এ বার তিনি রাম মন্দির তৈরির কাজ এগিয়ে দিয়েছেন। ৭০ বছর ধরে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস প্রভৃতি দল রাম মন্দির তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, আর কয়েক দিনের মধ্যেই আকাশচুম্বী রাম মন্দির তৈরি হবে।’’ তাৎপর্যপূর্ণ হল, শাহের রাম মন্দির সংক্রান্ত মন্তব্যের সময় হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়েন শ্রোতারা। যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন অবাঙালিও ছিলেন। বস্তুত, এ দিন শাহের সমাবেশে দেখা গিয়েছে বিহার থেকে আসা বিজেপি কর্মীদেরও। তাঁদের মধ্যে এক জন ফেসবুক লাইভও করেছেন। সেখান থেকে জানা গিয়েছে তাঁর নাম নারায়ণ জি ঝা। তিনি বিহারের মধুবনি এলাকার বিজেপি কর্মী।