আদিবাসী নেতা বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মাল্যদান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ছবি পিটিআই।
বিজেপির নেতাদের ঘোষণা ছিল, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মালা দেবেন আদিবাসী নেতা বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল, মালা পড়ল বাঁকুড়ার পোয়াবাগানের ওই মূর্তির নীচে রাখা ছবিতে।
পুষ্পার্ঘ্য দেওয়া হল মূর্তির পায়ের তলায়। শাহের কর্মসূচিতে এই বদলের পিছনে তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে বলে দাবি আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’-এর নেতা সনগিরি হেমব্রমের। তাঁর কথায়, ‘‘ওটা বীরসা মুণ্ডার মূর্তি নয়, জনৈক আদিবাসী শিকারির। ব্যাপারটা জেলা বিজেপি নেতৃত্বের নজরে আনা হয়।’’
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রও মানছেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যখন জেনেছি, মূর্তিটি বীরসা মুণ্ডার নয়, ছবির বন্দোবস্ত করেছি।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জাতীয় সড়কের উপরে ওই মূর্তিটি বছর পাঁচেক আগে গড়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই)।
আরও পডুন: কয়লা পাচার: তল্লাশি জেলা-কলকাতায়
আরও পডুন: জোটই চমক দেবে, সুর কংগ্রেসের মঞ্চে
এ দিন এনএইচএআই কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তৃণমূলের জেলা নেতা অরূপ চক্রবর্তীর টিপ্পনী, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির সবটাই লোকদেখানো। স্থানীয় এবং আদিবাসী সংস্কৃতি সম্পর্কে ওদের যে ধারণা নেই, তা ফের প্রমাণ হল।’’
তবে আদিবাসী বাড়িতে এ দিনের মধ্যাহ্নভোজে আতিথেয়তার অভাব দেখেননি শাহ। বাঁকুড়া ১ ব্লকের চতুর্ডিহি গ্রামের দিনমজুর বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে দুপুর ৩টে নাগাদ পৌঁছন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলাপাতা দেওয়া কাঁসার থালা-বাটিতে ভাত-রুটি, ডাল, আলু-পটল ভাজা, আলু-পোস্ত, মিষ্টি সাজিয়ে দেওয়া হয়। ওই বাড়িতে চমৎকার বাঙালি খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে শাহ পরে টুইটও করেছেন। বিভীষণ বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে অল্প কথা হল। এলাকায় চাষের জলের অভাব। বহু ছেলে কাজের খোঁজে দূর দেশে যায়। এগুলো বলব ভেবেছিলাম। সময়ের অভাবে বলা হল না।’’