মতুয়া বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন অমিত শাহ। ছবি পিটিআই।
বাঁকুড়ায় জনজাতি পরিবারের পরে এ বার রাজারহাটে মতুয়া বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন অমিত শাহ। মতুয়া সমর্থক এবং ওই পরিবারের প্রশ্নের মুখে পড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) দ্রুত কার্যকর হওয়ার আশ্বাসও দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তাঁর এই ‘ভোজ-রাজনীতি’কে কটাক্ষে বিদ্ধ করল রাজ্যের শাসক তৃণমূল ও বিরোধী সিপিএম- কংগ্রেস।
বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে শুক্রবার রাজারহাটের গৌরাঙ্গনগরে মতুয়া মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন শাহ। তাঁকে অভ্যর্থনার অবসরেই মতুয়া সমর্থকেরা শাহের কাছে জানতে চান, সিএএ এখনও চালু হচ্ছে না কেন? পরে নবীন বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করতে গিয়েছিলেন শাহ। মতুয়া পরিবারের নবীনও একই প্রশ্ন করেন। তাঁদের বক্তব্য, সিএএ চালু না হলে তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয়টি ঝুলেই রয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই শাহের আশ্বাস, সংসদে আইন যখন হয়েছে, তার বিধি প্রণয়ন হয়ে তা কার্যকরও হবে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও শাহ বলেন, ‘‘করোনার জন্য একটু সময় লাগছে। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবেই।’’
নবীনদের বাড়িতে শাহের পাতে ছিল রুটি, ছোলার ডাল, সাদা ভাত, মুগ ডাল, শুক্তো, বেগুন ভাজা, চাটনি। সূত্রের খবর, নলেন গুড়ের পায়েস খেয়ে শাহ তৃপ্ত। মধ্যাহ্নভোজে তাঁর পাশে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, জাতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাহুল সিংহেরা। পরে টুইটে শাহের মন্তব্য, ‘‘এমন বিনম্র আতিথেয়তার জন্য বিশ্বাস পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ।’’
আরও পড়ুন: ৩৫৬ ধারা? তৃণমূলের তো এপ্রিলেই শেষ: অমিত
জনজাতি বা মতুয়া বাড়িতে গিয়ে শাহের ভোজনকে ‘লোক-দেখানো’ বলেই আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল ও সিপিএম-কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘সবই ছবি তোলার জন্য! বিজেপি মতুয়া, জনজাতি বা সংখ্যালঘু, কারওরই পাশে নেই। তারা জানে শুধু বিভাজন করতে।’’ পুরুলিয়ায় সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের কটাক্ষ, ‘‘খেয়েদেয়ে তৃপ্ত হয়ে হাত ধুয়ে, মুখ মুছে ফেলতে পারেন কিন্তু ইতিহাস মোছা যাবে না!’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘সবই রাজনৈতিক চমক! আগে বলেছিলেন মতুয়াদের নাগরিকত্বের সমস্যার সমাধান করে দেবেন। আর দলিত বা জনজাতি নিয়ে শাহেরা কী বলবেন? ’’
আরও পড়ুন: মমতাই ফিরবেন, হোম মিনিস্টার একটুও হোমওয়ার্ক করে আসেননি: তৃণমূল