স্বাধীনতার বিকেলে রাজ্যপালের আমন্ত্রণে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
সংঘাতের আবহেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আমন্ত্রণে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে প্রথামাফিক চা চক্রের আয়োজন করা হয় রাজভবনে। প্রতি বছর রাজ্যপালের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চা চক্রে যোগদানের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই রাজভবনে গেলেন মমতা। বিকেল ৫টার কিছু পরে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি।
নবান্নের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আমন্ত্রণে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে প্রথামাফিক চা-চক্রে আয়োজন করা হয় রাজভবনের তরফে। রাজ্যপাল ওই চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বিকেল ৫টার কিছু পরে রাজভবনে যান মমতা। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি।
বন্দিমুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনকে চড়া সুরে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৮৭ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল ফাইলে অনুমোদন না-দেওয়ায় বন্দি মুক্তি সম্ভব হয়নি। পাল্টা রাজভবনও জানায়, বন্দিমুক্তি সংক্রান্ত ৭টি প্রশ্নের জবাব নবান্নের কাছে জানতে চেয়েছিল রাজভবন। জবাব না-পেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি (কারা)-র সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্য সরকার এ বিষয়ে সদিচ্ছা না দেখানোয় ফাইলে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি। সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও মমতার আক্রমণের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। ঘটনাক্রম অনুযায়ী, রাজ্যপাল-নবান্ন সংঘাত প্রতি দিনই দেখা যাচ্ছে। সেই আবহেই মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবনে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বোস রাজ্যপাল হিসেবে বাংলার দায়িত্বে আসার পর এটাই প্রথম স্বাধীনতা দিবস। প্রশাসনের একাংশের মতে, সে কারণেই সৌজন্যবশত রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে জগদীপ ধনখড় রাজ্যের রাজ্যপাল থাকাকালীনও মমতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর সরকারের। তা সত্ত্বেও ধনখড়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে চা-চক্রে যোগ দিতেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে গত ২৫ জুলাই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন মমতা। সে বার অবশ্য মমতা জানিয়েছিলেন, বিধানসভার বাদল অধিবেশনের বিষয়ে কথা বলতেই রাজভবনে গিয়েছিলেন। তার ৩ সপ্তাহের মধ্যে আবারও রাজভবনে গেলেন মমতা। এ বার অবশ্য রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।