নদিয়ার করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়। ফাইল চিত্র।
যখন তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে তখন করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় দরিদ্র মানুষকে কম্বল বিতরণ করে সমালোচনা ও কটাক্ষের মুখে পড়লেন।
গত কয়েক দিন ধরে প্রখর রোদের তাপে মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। লু বইছে। বহু অঞ্চলে বাসিন্দারা তীব্র জলকষ্টে ভুগছেন। এই সময় তাঁদের জলের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ বিধায়ক কোন যুক্তিতে কম্বল দিতে গেলেন, সেই প্রশ্ন এখন বিরোধী ছাড়াও সাধারণ মানুষেরও মুখে মুখে ঘুরছে। যদিও বিমলেন্দু বিতর্ক উড়িয়ে দাবি করেছেন, ‘‘যাঁদের সমালোচনা করা অভ্যেস তাঁরা করবেন। আসন্ন ইদ উপলক্ষে বিধানসভার বিভিন্ন জায়গাতে বস্ত্র বিতরণ করছি। ধুতি-কাপড়ের সঙ্গে বেশ কিছু কম্বল মজুদ ছিল। যদি সাধারণ মানুষের কাজে লাগে সেই জন্য সেগুলি দিয়েছিলাম। যাদের কোনও কাজ নেই তারাই এ সব নিয়ে হইচই করে।’’
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিমলেন্দু সিংহ রায় করিমপুর বিধানসভার হরেকৃষ্ণপুর অঞ্চলের পীরতলায় সোমবার বিকেলে একটি অনুষ্ঠানে বস্ত্র বিতরণ করেন। সেখানে ধুতি কাপড়ের পাশাপাশি বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করেন তিনি। তা নিয়ে শুরু হয় টিপ্পনি। সামাজিক মাধ্যমেও শুরু হয় কটাক্ষ আর সমালোচনা।
সিপিএমের করিমপুর ১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সন্দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁর মাথাটাথা খারাপ হয়েছে কিনা এক বার ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া উচিত।’’ করিমপুর বিধানসভার বিজেপির কনভেনার মৃগেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই গরমের মধ্যে মানুষ হাঁসফাঁস করছে, সেই সময় এলাকার কোথায় জলের সঙ্কট আছে কিনা, বিধায়কের দেখা উচিত। কিন্তু বাস্তবে কম্বল দিয়ে নিজেই হাসির খোরাক যুগিয়েছেন।’’ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে একটি পোস্ট, যেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘প্রখর দাবাদাহে মাননীয় বিধায়কের কম্বল বিতরণ পাগলামি নাকি বিনাশ কালে বুদ্ধিনাশ?”