মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
রেশনসামগ্রী বিলি এবং ঘূর্ণিঝড় আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বণ্টন নিয়ে তৈরি হওয়া একের পর এক বিতর্কের মোকাবিলায় অভিযোগ জানানোর বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছিল রাজ্য সরকার। এ বার গত এক বছর ধরে অভিযোগ নিষ্পত্তির সরকারি তথ্য তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উপান্ন প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনে মমতার বক্তব্য, প্রকৃত অর্থে মানুষের অভিযোগ জানানোর জায়গা রয়েছে।
অনলাইনে অভিযোগ জানাতে সাধারণ মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের (সিএমও) অধীনে গত বছর একটি পৃথক ‘সেল’ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এত দিন তা পরিচালিত হচ্ছিল আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাঘর থেকে। এ বার সেই অভিযোগ কেন্দ্র নিয়ে আসা হল নতুন তৈরি উপান্ন ভবনে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “সাত লক্ষ ৮৯ হাজার অভিযোগ পেয়েছিলাম, তার মধ্যে মাত্র ৫৪ হাজার অভিযোগের নিষ্পত্তি বাকি আছে। ৯৩ শতাংশ অভিযোগ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোও হয়ে যাবে। মানুষ জানবে, অভিযোগ জানানোর জায়গা আছে। সব সমাধান হয়তো করতে পারি না। কিন্তু পরিকল্পনাটা থাকা উচিত।”
লকডাউন পর্বে রেশন বিলি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বিরোধী শিবির সেটাকে রেশন-দুর্নীতি বলতেও ছাড়েনি। তখনই সাধারণ উপভোক্তাদের জন্য অভিযোগ কেন্দ্র তৈরি করে দেয় রাজ্য সরকার। আমপান-ক্ষতিপূরণের বিলিবণ্টন নিয়ে উপর্যুপরি দুর্নীতি-বিতর্কের পরে পৃথক ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষে আরও পরিমার্জিত উপায়ে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করে সরকার।
নালিশ করুন উপান্নে
• টোল ফ্রি নম্বর: ১৮০০০৩৪৫৮২৪৪
• এসএমএস নম্বর: ৯০৭৩৩০০৫২৪
• মেল: wbcmro@gmail.com
মমতা এ দিন জানান, এ-বি-সি শ্রেণি ভাগ করে পরিকল্পনা করছে সরকার। ‘শর্ট’, ‘মিড’ এবং ‘লং টার্ম’ অর্থাৎ স্বল্প, মাঝারি এবং দীর্ঘ মেয়াদের সেই পরিকল্পনা মেনেই কাজ হচ্ছে। উপান্ন এ বার থেকে সিএমও বা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর হিসেবে কাজ করবে। ওই ভবনে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের একটি করে কন্ট্রোল রুম এবং মুখ্যসচিবের অফিস থাকবে।
আরও পড়ুন: বড়কর্তাদের নামের ভয় দেখিয়ে তোলা আদায়!