নামখানা স্টেশনে পরিদর্শন যানে রেল কর্তার আত্মীয়-পরিজনের সফর। —নিজস্ব চিত্র।
রেলের পরিদর্শন যান ব্যবহার করে আত্মীয়-পরিজনদের নিয়ে গঙ্গা সাগরে পুজো দিতে যাওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব রেলের এক শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে। ওই কাজের জন্য নামখানা স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে গত শনিবার দীর্ঘক্ষণ যাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা ছাড়াও স্টেশন চত্বরের সব দোকান দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ওই দিন সকাল ৮.১৫ মিনিট নাগাদ একটি সুসজ্জিত পরিদর্শন যানে পূর্ব রেলের এক শীর্ষ কর্তা তাঁর রক্ষী এবং পরিচিত লোকজন নামখানা স্টেশনে পৌঁছন বলে খবর। সকাল ৯ টা নাগাদ তুলনায় কিছুটা সাধারণ আরও একটি পরিদর্শন যান ওই স্টেশনে পৌঁছয়। সেখান থেকে ওই রেল কর্তার আত্মীয় পরিজন মিলে আরও অনেকে নামেন বলে অভিযোগ। ওই সময় সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ওই স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে সাধারণ যাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়। পরিদর্শন যানে ৬০-৭০ জনের ওই দল সেখান থেকে পৃথক লঞ্চে করে সাগর দ্বীপে যায় বলে খবর। ফিরতি পথে দুপুর আড়াইটে নাগাদ একইভাবে প্ল্যাটফর্ম এবং দোকান পাট বন্ধ রেখে যাত্রীরা পরিদর্শন যানে উঠে ফিরে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং দোকানদের দাবি, তাঁদের জানানো হয়েছিল শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার বিশেষ পরিদর্শনে আসছেন। যদিও রেল সূত্রে খবর, ওই দিন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার নামখানায় আসেননি। রেলের একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে ওই দিন যে কর্তা দলবল নিয়ে এসেছিলেন, তিনি সে দিনই অবসর নেন।
অতীতে লোক লস্কর নিয়ে রেলের সেলুন কার, পরিদর্শন যান অপব্যবহার করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে রেল কর্তাদের বিরুদ্ধে। রেলমন্ত্রী নিজেও এ নিয়ে একাধিকবার কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা বলেছেন। তার পরেও সরকারি খরচে পরিদর্শন যানের অপব্যবহার কেন সেই প্রশ্ন উঠছে।
এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”