Partha Chatterjee

এ বার পার্থের বিরুদ্ধে বিএড কলেজে দুর্নীতির অভিযোগ, সিবিআই চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

বিএড কলেজগুলি থেকে বছরে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। অনেক কলেজ পুনর্নবীকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্য টাকা বাদেও নগদে আরও ২ লাখ টাকা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৪২
Share:

আবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল প্রাক্তন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।

এ বার বিএড কলেজ পুনর্নবীকরণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল প্রাক্তন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বিএড কলেজগুলি নিয়ে বড় ধরনের আর্থিক দুর্নীতি চলছে এই অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তিনি সিবিআই এবং ইডিকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন। এই মামলায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচারস ট্রেনিং, এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সবটাই নিয়ম মেনে হয়েছে বলে দাবি করেন উপাচার্য।

Advertisement

মামলাকারীর দাবি, বিএড কলেজগুলি থেকে বছরে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। অনেক কলেজ পুনর্নবীকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্য টাকা বাদেও নগদে আরও ২ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক অতিরিক্ত ১৫ হাজার টাকা এবং শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মামলাকারী। অনিন্দ্যসুন্দরের দাবি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ মদতে টাকা তুলতেন সজল সরকার, সজল কর এবং তপন বেরা নামে তিন ব্যক্তি। এ ছাড়া মামলায় দাবি করা হয়েছে, ১৬টি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ সোমা।

আগে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএড ডিগ্রি করা যেত। পরে তৃণমূল সরকার শিক্ষক প্রশিক্ষণ-সহ কয়েকটি বিশেষ বিষয়ের জন্য একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করে। সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ৬৩০টি কলেজ রয়েছে। বেসরকারি কলেজগুলি থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা তোলা হত বলে অভিযোগ। দুর্নীতি প্রসঙ্গে মামলকারীর ব্যাখ্যা, ধরা যাক, ২০১৯ সালে কোনও কলেজকে ১০টি বিষয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে পুনর্নবীকরণের সময় ওই কলেজকে ৬টি বিষয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর পর বাকি বিষয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়া হত।

Advertisement

প্রসঙ্গত, স্কুলে শিক্ষক এবং কর্মী নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ। এ বার বিএড কলেজ দুর্নীতিতেও তাঁর নাম আনা হল। মামলকারীর দাবি, উপর থেকে এই দুর্নীতিতে মদত ছিল শিক্ষামন্ত্রীর। তাঁর অজান্তে কিছুই হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement