Suvendu Adhikari

জরিমানা দিয়ে ‘কারণ’ জানতে লালবাজারে শুভেন্দু! সঙ্গে ‘অনেক দূর টেনে নিয়ে’ যাওয়ার হুমকি সিপি-কে

ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার দায়ে জরিমানা দেওয়ার প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নাম করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি এ নিয়ে অনেক দূর যাব। বিনীত গোয়েলকে টেনে নিয়ে যাব।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৪৫
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার জন্য জরিমানা ধার্য করেছিল পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জানান, প্রতিহিংসার কারণেই বেছে বেছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে প্রশাসন। আগেই তিনি জরিমানা বাবদ এগারো হাজার টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে একটি ল্যাপটপ খুলে একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে তিনি দাবি করেন, রাজ্যের এক সাংসদ মা উড়ালপুলে ট্র্যাফিক আইন ভেঙে গাড়ি চালালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অবশ্য সেই সাংসদের নাম করেননি তিনি।

Advertisement

গত বিধানসভায় বিজেপির মোট প্রাপ্ত ভোটসংখ্যার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, “২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে নোংরা আচরণ করা হচ্ছে।” জরিমানা প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নাম করে তিনি বলেন, “আমি এ নিয়ে অনেক দূর যাব। বিনীত গোয়েলকে টেনে নিয়ে যাব।” সাংবাদিকদের তরফে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার জন্য তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে। শুভেন্দু জানান, তিনি নিজেও এ বিষয়ে জানেন না। তার পরই রাজ্য সরকারকে ‘ভিখারি সরকার’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। জানান কী কারণে তাঁর কাছে জরিমানা নেওয়া হল তা নথি আকারে জানতে চাইবেন তিনি। উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে আইনি পথে লড়াই হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পরের দিন থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ আনছে রাজ্য সরকার। তাঁর ভুলটা কী জানতে চেয়ে তাঁর দাবি, কারণ না জানতে পারলে তিনি ভুল সংশোধন করতে পারবেন না। শুক্রবার পর্যন্ত তিনি ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার দায়ে কোথায় কত জরিমানা দিয়েছেন, তা-ও একটি নথি তুলে ধরে দেখান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কম্বল বিতরণ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যে শিল্প নেই, চাকরি নেই, কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার মতো টাকা নেই, তাই মুখ্যমন্ত্রীকে সস্তার কম্বল বিলি করতে হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement