ছবি পিটিআই।
করোনা মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলির আর্থিক অনুদান অব্যাহত। শাসক দল তৃণমূলের ২২ জন লোকসভার সাংসদ করোনা পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য এ বার তাঁদের সাংসদ তহবিল থেকে মোট ১২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলেন। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে অর্থ সাহায্যের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে কলকাতা উত্তর এবং জয়নগরের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রতিমা মণ্ডল দিয়েছেন এক কোটি টাকা করে। কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায় দিয়েছেন এক কোটি এক লক্ষ টাকা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও ১৮ জন সাংসদ ৫০ লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্য দিয়েছেন করোনা-যুদ্ধে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে এক কোটি টাকা দিয়েছে যুব তৃণমূল। অর্থ সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশিই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু এবং তৃণমূলের অন্যান্য নেতা, কাউন্সিলরেরা বিভিন্ন এলাকায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। খাবার এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রান্তিক মানুষের হাতে। একই ভাবে নানা এলাকায় রিকশাওয়ালা, দিনমজুর-সহ যাঁদের এখন রোজগার নেই বা যাঁদের স্থায়ী ঠিকানা নেই, তাঁদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সিটু, ডিওয়াইএফআই, এসএফআই এবং কংগ্রেস কর্মীরা। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান অবশ্য আবেদন জানিয়েছেন, এই সঙ্কটের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে কেউই যেন দলের নাম ব্যবহার করে প্রচার না করেন।
করোনা ঠেকানোর লড়াই এবং চিকিৎসায় নিজের সাংসদ তহবিল থেকে এক কোটি টাকা বরাদ্দ করার জন্য স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। এর আগে অধীরবাবু প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নিজের এক মাসের বেতন দিয়েছিলেন। নিজের সাংসদ তহবিল থেকে রাজ্য সরকারকেও দিয়েছিলেন ৩০ লক্ষ টাকা।
রাজ্যের বামফ্রন্ট বিধায়কদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে করোনা মোকাবিলায় দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপি সাংসদেরাও করোনা মোকাবিলার স্বার্থে তাঁদের সাংসদ তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন। এ বার একই উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক মাসের ভাতা দিলেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ সাংসদ তহবিলের ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন করোনা মোকাবিলায়। রূপাও নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৮ কোটি টাকা দিয়েছেন। তার মধ্যে ৫ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং এক কোটি টাকা রাজ্যের আপৎকালীন তহবিলে জমা পড়েছে।