দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। — ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ কেড়েছে চার জনের। সোমবারেও আবার ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই আবহে দক্ষিণবঙ্গে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসও রয়েছে। এই পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
চলতি সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই তাপপ্রবাহের কারণে শিশু, বৃদ্ধ, যাঁদের রোগব্যাধি রয়েছে, এ রকম কিছু মানুষজনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁরা ভারী কাজ করেন, তাঁদেরও সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত তাপপ্রবাহের কারণে র্যাশ হতে পারে। হাতে-পায়ে টান ধরতে পারে।
এ জন্য কিছু সাবধানতার কথাও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তারা জানিয়েছে, তাপপ্রবাহ যখন চলবে, তখন বেশি ক্ষণ বাইরে না থাকাই উচিত। হালকা সুতির জামা পরা দরকার। কোনও কাপড় বা টুপি দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা উচিত। সারা দিনে প্রচুর পরিমাণ জল পান করা উচিত। তেষ্টা না পেলেও জল খাওয়া প্রয়োজন। হাওয়া অফিসের আরও পরামর্শ, দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ওআরএস, লস্যি, ঘোল, ছাঁচ, লেবু-জল পান করা উচিত। প্রখর রোদের মধ্যে কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। পাশাপাশি, দিনে যখন তাপমাত্রা কম থাকবে, তখন ভারী কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। বাইরে রোদের মধ্যে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের বার বার বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। সন্তানসম্ভবা এবং অসুস্থ শ্রমিকদের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখার পরামর্শও দিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। ওই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এই পূর্বাভাসের পরেই সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস।