দিল্লির জামিয়ার প্রতিবাদ সভায় ভিক্টর। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রের নতুন নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)। দল সূত্রে খবর, এ রাজ্য থেকে এই প্রথম কোনও বিধানসভার সদস্য সিএএ নিয়ে মামলা করেছেন।
ভিক্টর মঙ্গলবার জানালেন, ‘‘জানুয়ারিতে মামলা করেছিলাম। ১৭ ফেব্রুয়ারি সেটি সুপ্রিম কোর্টে নথিভুক্ত হয়েছে।’’ জানালেন, আইনি লড়ায়ের সঙ্গেই চলবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনও।
রাজ্য রাজনীতিতে বামেদের অন্যতম বিরোধী মুখ বলে পরিচিত ভিক্টর বিভিন্ন ইস্যুতে বারবারই বিধানসভায় সরব হয়েছেন, তেমনই কেন্দ্রের এই আইন নিয়েও প্রথম থেকেই প্রতিবাদ করছেন তিনি। শামিল হয়েছেন ধর্না থেকে অবস্থান বিক্ষোভ—সবেতেই। তিনি বিহারের কিসানগঞ্জ, পূর্ণিয়ায়, বেগুসরাইতে গিয়েও সিএএ-এর ধর্না মঞ্চে যোগদান করেছেন। তিনি জানালেন, এ বার দিল্লির শাহিনবাগের ধর্না মঞ্চে আমন্ত্রণ পেয়ে রওনা দিয়েছেন। আজ, বুধবার, সেখানে বক্তব্য রাখবেন তিনি। তারপর জনগণমন যাত্রার শেষে ২৭ ফেব্রুয়ারি পটনায় কানাহাইয়া কুমারের সভাতেও তাঁরা যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বলে খবর।
সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনার পাশাপাশি এনপিআর স্থগিত করারও দাবি জানিয়েছিলেন ভিক্টর। এ বার তিনি দেশের শীর্ষে আদালতে দ্বারস্থ হলেও। ভিক্টর নিজেও একজন আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘‘এই মামলায় লড়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাব।’’
ভিক্টর নিজেই এই পদক্ষেপের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। অনেকে নিজেকে তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করে লিখেছেন, ‘‘খুবই ভাল উদ্যোগ। আপনার এই উদ্যোগকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’
যদিও চাকুলিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিনহাজ উল আরফিন আজাদ বলেন, ‘‘কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই সরব হয়েছেন। পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিধানসভায় সিএএ-এর বিরুদ্ধে বিল পাশ করে এনপিআর স্থগিত করেছেন। নেত্রী ঘোষণা করেছেন রাজ্যে এনআরসি হবে না। ভিক্টরের তো কোনও জনসমর্থন নেই। তাই এনআরসি ও সিএএকে হাতিয়ার করে নিজের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই নেমেছে। ভিক্টরের উচিত এলাকার উন্নয়নের নজর দেওয়া।’’