গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সোমবার দিল্লিতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সরাসরি নবান্নে এসেছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই ফের চিঠি দেয় কেন্দ্র। জানায়, মঙ্গলবার যোগ দিতে হবে দিল্লিতে সেই চিঠি হাতে পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দিল্লির দ্বিতীয় চিঠি আসার আগেই অবসর নিয়েছেন মুখ্যসচিব।
৩১ মে, সোমবার দিল্লিতে বদলি হওয়া পদে যোগ দেওয়ায় নির্দেশ থাকলেও আলাপন সরাসরি যান নবান্নে। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি প্রশাসনিক বৈঠকেও অংশ নেন। তারপর বিকেল নাগাদ ফের সাংবাদিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। শুরুতেই বলেন, রাজ্যের হাতে আলাপনকে ফের দিল্লিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশনামা এসে পৌঁছেছে দুপুরে। সেখানে বলা হয়েছে, ১ তারিখ সকাল ১০টার সময় দিল্লিতে কাজে যোগ দিতে হবে। মমতা প্রথমেই প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন আলাপনকে দিল্লিতে বদলি করা হচ্ছে, কেন্দ্রের চিঠিতে কোনও কারণ দেখানো হয়নি। যেখানে অবসরের মুখে থাকা আলপানের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল বাংলার করোনা পরিস্থিতি সামলানোর তাগিদে, সেখানে তাকেই বদলি করা হচ্ছে দিল্লিতে, এর অর্থ কী?’’ কেন্দ্রকে লেখা চিঠিতেও এই একই প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা।
১০ মে আলাপনের মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করে প্রাথমিক চিঠি পাঠায় রাজ্য। কেন্দ্রের অনুমতি মেলে ২৪ তারিখ। ৪ দিনের মাথায় আলাপনের বদলির চিঠি আসে। বদলি বাতিল করতে পাল্টা চিঠি দেন মমতা। কেন্দ্র সেই অনুরোধ উপেক্ষা করেই ফের আলাপনকে দিল্লিতে যোগ দেওয়ার চিঠি দেয়। ঘটনাক্রম পুরোটা পর্যায়ক্রমে সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ করেন মমতা। তার পরই বলেন কেন্দ্রের দ্বিতীয় চিঠির আসার আগেই অবসর নিয়েছে আলাপন।
মমতা বলেন, ‘‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি দিল্লির দ্বিতীয় চিঠি আসার আগেই অবসর নিয়েছেন। ইতিহাসে তাঁর নাম লেখা থাকবে। তিনি এতদিন ধরে দেশের হয়ে কাজ করেছেন, কিন্তু অবসরের মুহূর্তে এসে তাঁর সঙ্গে যা করা হল তা ঠিক নয়। আমি বলেছি, তাঁর অবসের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। আমি সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। কিন্তু এই লড়াই থেকে তাঁকে আমরা ছাড়ছি না। তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। ৩ মাস নয়, ৩ বছর।’’