মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে কার্যত হুমকি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘কেন্দ্র প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করেছে। এর জন্য ওদের পস্তাতে হবে।’’
সোমবারও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নর্থ ব্লকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি এসেছিল নবান্নে। তারপরই সাংবাদিক বৈঠক করে আলাপনকে তাঁর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগের ঘোষণা করেন মমতা। জানিয়ে দেন, এ ভাবে তাঁকে থামানো যাবে না। এমনকি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতাদের একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘‘সকলের এককাট্টা হয়ে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা উচিত। বিরোধী দলগুলির মুখ্যমন্ত্রীরও একজোট হওয়া উচিত। বিজেপি স্বৈরাচারীর মতো ব্যবহার করছে। হিটলার, স্ট্যালিনের মতো ব্যবহার করছে। কিন্তু এ ভাবে আমাদের আমলাদের স্বাধীনতা, সম্মান কেড়ে নিতে দেব না ওদের।’’
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপনকে নিয়ে গত চার দিন ধরেই কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চলছে। আলাপনের অবসরের দিন চারেক আগে তাঁকে হঠাৎ দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কেন্দ্র। সোমবারও এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। আলাপনকে যে দিল্লিতে কর্মিবর্গ মন্ত্রকে যোগ দেওয়ার জন্য ছাড়া হচ্ছে না, তা জানিয়ে এবং পাশাপাশিই তাঁকে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে ওই চিঠি দেওয়া হয়। সে প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এখনও আমার চিঠির উত্তর দিতে পারেননি। আলাপনকে কেন ডাকা হয়েছে, তার কোনও স্পষ্ট কারণ দেখায়নি কেন্দ্র। অথচ তারপরও ফের চিঠি দেওয়া হয়েছে আলাপনকে। নর্থ ব্লকের কাজে ডেকে পাঠিয়েছেন।’’
কলাইকুন্ডার ঘটনার জন্যই যে আলাপনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তা স্পষ্ট করে মমতা বলেন, ‘‘এ ভাবে আমাদের থামাতে পারবে না। আমলাদের স্বাধীনতা, সম্মান কেড়ে নিতে পারবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ৩ মাসের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে। এর জন্য একদিন ওদের পস্তাতে হবে।’’