তারুণ্যে নজর দিচ্ছে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। —নিজস্ব চিত্র।
বামেদের দুর্দিনেও মহিলা সংগঠনের সদস্য প্রায় ২৭ লক্ষ। সেই সংখ্যা ধরে রেখেই এ বার তারুণ্যে নজর দিচ্ছে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। সেই সঙ্গে কাছে টানার চেষ্টা হচ্ছে এলজিবিটি শ্রেণিভুক্তদেরও।
হাওড়ার বালিতে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মহিলা সমিতির ২৮তম রাজ্য সম্মেলন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা বসু ঘোষ ও রাজ্য সভানেত্রী অঞ্জু কর মঙ্গলবার জানিয়েছেন, বয়স চল্লিশের নীচে, এমন সদস্যের হার এখন ৩০ থেকে ৩৫%। ওই হার ৪০%-এ নিয়ে যাওয়া তাঁদের লক্ষ্য। কমিটির ক্ষেত্রে নতুন সদস্যদের বয়সের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৬৫। মহিলা সংগঠনের নেত্রীদের দাবি, রাজ্যে ‘পরিবর্তনে’র পরে যে অবস্থা ছিল, তার চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করেই জেলায় জেলায় বহু মহিলা এখন সংগঠন করতে এগিয়ে আসছেন। কনীনিকা বলেন, ‘‘সব অংশের মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে আমাদের লড়াই জোরদার করতে চাই। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলা হবে রাজ্য সম্মেলনে। মোট ৬টি কমিশন পেপার পেশ করা হবে, তার মধ্যে থাকবে এলজিবিটি-র অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ও।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেখা গোস্বামী বলেন, বিধানসভা ও সংসদে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব কেন ঠান্ডা ঘরে, সেই প্রশ্নও তাঁরা তুলবেন।
বালিতে ২২ তারিখ মহিলা সমিতির রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশে হাজির থাকার কথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম ধওয়লে, সর্বভারতীয় সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্যের। রাজ্যের ২৩টি জেলা থেকে আসবেন প্রায় ৩৫০ প্রতিনিধি। তাঁদের অধিকাংশ এবং সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব বালিতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে থাকবেন, এমন ব্যবস্থাই হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২২টি জেলা সম্মেলন থেকে ১০টি জেলায় নেতৃত্বে কোনও না কোনও রদবদল হয়েছে। কনীনিকার বক্তব্য, ‘‘শ্রমিক ফ্রন্টের মতো আমরাও মহিলা কংগ্রেসকে নিয়ে একসঙ্গে আন্দোলনে যাব। কনভেনশনে এর আগে আমাদের আমন্ত্রণে মহিলা কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন।’’