কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
জয়ের ১৯ দিন কাটতে না কাটতেই ভবানীপুর বিধানসভার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে কৃষক ও তাঁদের ফসল বাঁচাতে উদ্যোগ নিতে শুরু করে দিয়েছেন এই পদত্যাগী বিধায়ক। যে সমস্ত জেলায় ইয়াস আছড়ে পড়তে পারে, দফতর মারফত সেই সব জেলায় বহু আগে থেকেই যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছিল কৃষি দফতর। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে ১৯ মে থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাশাপাশি, হাওড়া, হুগলি সহ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কৃষি দফতরের ব্লক স্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন শোভনদেব। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, বাদাম, ডাল ইত্যাদির মতো ফসল ঝড়ের আগেই কেটে নিতে হবে। সঙ্গে বোরো ধান কেটে তাড়াতাড়ি গুদামজাত করতে হবে। তিল ও পাট চাষের জমিতে জল জমলে যাতে তা দ্রুত বের করে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
এমন নির্দেশের পাশাপাশি, ঘুর্ণিঝড়ে কী ভাবে ফসল ও চাষের জমি রক্ষা করা যাবে, কৃষকদের সে বিষয়েও বার্তা পাঠানো হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি কৃষিমন্ত্রীর। বিভিন্ন সব্জি, পেঁপে ও কলার মতো ফলের গাছগুলি যাতে ঝড়ের মুখে ভেঙে না যায়, সেই বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সব্জির মাচা ও পানের বরজগুলিকে শক্ত করে বাঁধন দিতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে চাষের ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ যাতে দ্রুত দেওয়া সম্ভব হয়, সেই উদ্দেশ্যে দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন মন্ত্রী। শোভনদেব বলছেন, ‘‘ঝড়ের পরে দফতরের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে খতিয়ান নেওয়া হবে। ব্লকস্তরের আধিকারিকরা সেই রিপোর্ট দফতরে পাঠাবেন। সেই রিপোর্ট আমরা অর্থ দফতরে পাঠাব। অর্থ দফতর তা অনুমোদন করলেই কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’