শনিবার নবান্নে ছিল কৃষি-বাণিজ্য সম্মেলন ২০২২। — ফাইল ছবি।
কৃষিকে ভিত্তি করেই রাজ্যে হবে বাণিজ্য। কৃষি ক্ষেত্রকে আরও লাভজনক করে তোলার দিকে নজর রাজ্যের। সেই উদ্দেশ্যেই শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘কৃষি-বাণিজ্য সম্মেলন ২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কৃষি ক্ষেত্রের মোট ২২০ জন প্রতিনিধি যোগ দেন ওই সম্মেলনে। রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপকুমার মজুমদারও ছিলেন।
পরে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই শনিবার ওই সম্মেলন হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং কৃষি দফতরের সচিবেরা এবং ওই ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত শিল্পোদ্যোগীরা। আইটিসির চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরি ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে যোগ দেন বৈঠকে। রাজ্যে শিল্পের উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রীকে।
মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই রাজ্যে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। ধান, পাট, সব্জি, মাছের খাবার উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে সাত গুণ। ডাল উৎপাদন আড়াই গুণ বেড়েছে। তৈলবীজ উৎপাদন বেড়েছে দেড় গুণ।’’
শনিবারের সম্মেলনে ধানকল মালিকরা জানিয়েছেন, রাজ্যে রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে ভোজ্য তেলের চাহিদা অনেকটাই মিটবে। রাজ্যে সামুদ্রিক মাছের চাষও বেড়েছে। কী ভাবে মাছ আমদানি বন্ধ করে রাজ্যবাসীর চাহিদা পূরণ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয় শনিবার। রাজ্য চাইছে, চাহিদা মেপে চাষাবাদ করতে। অর্থাৎ যে জিনিসের চাহিদা বেশি, তার চাষে জোর দিতে চায় রাজ্য। উপস্থিত শিল্পোদ্যক্তারাও রাজ্যের এই চেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছে।