শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ২,৯৬৮ জন। —গ্রাফিক্স সনৎ সিংহ।
রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবারের থেকে সামান্য বাড়ল। তবে তিন হাজারের মধ্যেই রয়েছে। কমেছে সংক্রমণের হারও। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার কিছুটা কমেছিল সংক্রমণের হার। শনিবার তা আরও একটু কমে ১৬ শতাংশের নীচে নামল। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে সেই উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা। পরিসংখ্যান থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, গত এক দিনে রাজ্যে কোভিড চিত্রের খুব বেশি অদলবদল হয়নি।
শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২,৯৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৪৯ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার বাসিন্দা।
উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪২ জন। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলিতেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শোর বেশি। তাই ওই তিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূমে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৩৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ৯২২ জনের। শনিবার দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ১৫.৬৯ শতাংশ। বাংলায় শুক্রবারের তুলনায় শনিবার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ১৫৯।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)