সল্টলেকে বিজেপি রাজ্য দফতরের সামনে কর্মীদের বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।
দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ দলেরই রাজ্য দফতরে। এক সপ্তাহে দু’দুবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। গত রবিবার দলের সাংগঠনিক জেলা ডায়মন্ড হারবারের সহ-সভানেত্রী সবিতা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয় সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের বিজেপি দফতরে। সোমবারও ওই দফতরে বিক্ষোভ দেখান দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কর্মীরা। গত রবিবার জেলার নতুন সভাপতি করা হয়েছে নবেন্দুসুন্দর নস্করকে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে জয়ী নবেন্দুসুন্দরকে কেন জেলার সভাপতি করা হল, এ নিয়েও স্থানীয় কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে আসেন।
রবিবার একই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কর্মীরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ সর্দারের বিরুদ্ধে আলোচনা না করে ২০ জন মণ্ডল সভাপতি বদলের অভিযোগ ছিল। ওই বিক্ষোভকে অনভিপ্রেত বলে রবিবার মন্তব্য করেছিলেন দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার শমীক নিজেই বিক্ষোভের মুখে পড়ে যান। সেই সময়ে দফতরে ঢুকতে গেলে শমীককে ঘিরে ধরে অভিযোগ জানাতে থাকেন মথুরাপুরের কর্মীরা। অভিযোগকারীদের কথা শুনে বিষয়টি নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দফতরে ঢোকেন শমীক। পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘যেটা ঘটেছে সেটা কখনও অভিপ্রেত নয়। কারও কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা দলের নেতৃত্বকে জানানো উচিত।’’
শমীক আসার আগে নবেন্দুসুন্দরের কুশপুতুলও দাহ করেন মথুরাপুরের বিজেপি কর্মীরা। দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে এলেও এক কর্মীর হাতে ঝাঁটাও দেখা যায়। যাঁকে ঘিরে এত বিক্ষোভ, সেই নবেন্দুসুন্দর বলেন, ‘‘নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে আমি জেলার সভাপতি হয়েছি। কয়েক জন গিয়েছেন রাজ্য দফতরে। জেলার বাকিদের আমাকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। আমি ওঁরা জেলায় ফিরলে নিজে কথা বলব।’’ নবেন্দুসুন্দর বিষয়টিকে ‘সাধারণ ক্ষোভ’ বলে দাবি করলেও গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের জেলা নেতৃত্বের কেউ কেউ এর নেপথ্যে রয়েছেন। তাঁদের নির্দেশেই কর্মীরা রাজ্য দফতরে ক্ষোভ দেখাতে আসেন।