এনআরএস-এ চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন-বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর আন্দোলন তোলা তো দূরঅস্ত্, আরও কঠোর অবস্থান নিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনকারীদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের। না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই এনআরএস হাসপাতালে জেনারেল বডি (জিবি)-র বৈঠক করেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তার পরই তাঁরা জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাঁদের হুমকি দিয়েছেন। তাঁরা এই হুমকির কাছে মাথা নত করবেন না। আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। উল্টে তাঁরা দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস হাসপাতালে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
আরও পড়ুন: ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা, এসএসকেএম-এ গিয়ে ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পডু়ন: ৬০ ঘণ্টা পার, অচল এনআরএস, কলকাতার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অমিল
মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম-এ বলেছিলেন, ‘‘এরা জুনিয়র ডাক্তার নন, বহিরাগত।’’ আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে বলতে পারেন, যে আন্দোলনকারীরা বিজেপি না সিপিএম অথবা বহিরাগত? এই মন্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এই ধরনের মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন এসএসকেএম-এ দাবি করেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মাধ্যমে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁরা কথা বলেননি। বিষয়টি অস্বীকার করেননি এনআরএস-এর আন্দোলনকারীরা। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেন, এত বড় সমস্যায় জুনিয়র চিকিৎসকরা, সেই সমস্যা শুধুমাত্র একটা ফোনে সমাধান হয়ে যাবে, এই ভাবনা ভুল। উনি এসএসকেএম হাসপাতালে যাচ্ছেন, অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন, অথচ এক বার এনআরএস হাসপাতালে আসতে পারছেন না, প্রশ্ন তুলেছেন এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তাররা।