পুলিশের লাঠি চলল বৃত্তিশিক্ষক আন্দোলনে

গত সপ্তাহে পার্শ্ব শিক্ষকেরা তাঁদের স্থায়ীকরণ-সহ বিভিন্ন দাবিতে অনশন ও বিক্ষোভে কর্মসূচি নিয়েছিলেন নদিয়ার কল্যাণীতে। সেই সময় অনশন-মঞ্চে গিয়ে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

কারিগরি শিক্ষা দফতরের সামনে বিক্ষুব্ধ বৃত্তিশিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

পথে নেমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষকেরা আন্দোলন করলে ছোটরা কী শিখবে? মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষোভের পাশাপাশি শিক্ষকদের উপরে পুলিশি আক্রমণের অভিযোগ উঠছে। পার্শ্ব শিক্ষকদের পরে বুধবার বৃত্তিশিক্ষক, প্রশিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে অভিযোগ।

Advertisement

গত সপ্তাহে পার্শ্ব শিক্ষকেরা তাঁদের স্থায়ীকরণ-সহ বিভিন্ন দাবিতে অনশন ও বিক্ষোভে কর্মসূচি নিয়েছিলেন নদিয়ার কল্যাণীতে। সেই সময় অনশন-মঞ্চে গিয়ে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। সেই পুলিশি হামলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় শিক্ষক মহলে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই এ দিন অভিযোগ উঠল, ধর্মতলায় এসএন ব্যানার্জি রোডে কারিগরি শিক্ষা দফতরের সামনে বিক্ষোভকারী বৃত্তিশিক্ষকদের উপরে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ।

আন্দোলকারীদের অভিযোগ, তাঁরা এ দিন দুপুরে এসএন ব্যানার্জি রোডে কারিগরি ভবনের সামনে বেতন বৃদ্ধি, বৃত্তিশিক্ষক, প্রশিক্ষকদের স্থায়ী পদ সৃষ্টি-সহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে বিক্ষোভ-অবস্থান করেছিলেন। তাঁদের দাবি শুনছিলেন কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। প্রণব পঞ্চাধ্যায়ী নামে আন্দোলনকারী এক শিক্ষকের অভিযোগ, ‘‘মন্ত্রী আমাদের সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে গিয়ে অবস্থান করতে বলেন। আমরা তাতে রাজি না-হওয়ায় পুলিশ হঠাৎ আমাদের লাঠিপেটা করতে শুরু করে।’’ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে কয়েক জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। আকস্মিক পুলিশি আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। তার পরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হয়। তবে পুলিশের বক্তব্য, লাঠি চালানো হয়নি। রাস্তা অবরোধ করায় শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।

Advertisement

পুলিশি হামলার নিন্দা করেছেন বিজেপি বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক তথা যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ ওই শিক্ষকদের কলার ধরে গাড়িতে তুলেছে। এই অসম্মান মানা যায় না।’’ নিন্দা করেছেন রাজ্য সিটুর নেতারাও। তাঁদের মতে, রাজ্য সরকার কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেই সংগঠিত হতে দিচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement