পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলে যোগদান করা বিধায়ক মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান বেছে নিয়ে সাংবিধানিক রীতিনীতি জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলে রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিজেপি-র এমন অভিযোগের জবাবে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতি যেখানে ইচ্ছে যাক।’’
পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলকে বসানোর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপি পরিষদীয় দল। পরে শুভেন্দু জানান,তা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং দেশের অন্যান্য রাজ্যেও পাঠানো হবে। বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল সশরীরে গিয়েই রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি জানাবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
উত্তরে স্পিকার বলেছেন, ‘‘যা করেছি আইন মেনে করেছি। ল’ফুলি করেছি। লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন হচ্ছে না, সেটা নিয়ে কি দাবি তুলবে? রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতি যেখানে ইচ্ছে যাক।’’ মঙ্গলবারই বিজেপি-র আট জন বিধায়ক বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। স্পিকার বলেছেন, ‘‘পদত্যাগপত্র জমা নিয়েছি, পরীক্ষা করে সব জানাব। এর মধ্যে তো ১৬ তারিখ বৈঠক ডেকে দিয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবার বিধানসভার ৪১টি কমিটির চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন স্পিকার। তার আগেই বিজেপি বিধায়করা চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন ওইদিন বিজেপি-র কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার ছিল কবি ভানুভক্তর জন্মদিন। সেই উপলক্ষে বিধানসভায় তাঁর ছবিতে মাল্যদানের পর নাম না করেও বিজেপি-কে কটাক্ষ করেন বিমান। তিনি বলেন,‘‘উত্তরবঙ্গকে বাংলা থেকে ভাগ করার চেষ্টা দেখতে পাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীও এ বিষয়ে আগে বলেছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যে চেষ্টা করছে বাংলার মানুষ তা সফল হতে দেবে না। দার্জিলিং আমাদের অঙ্গ এটা কেউই ভাগ করতে পারবে না।’’