মেহবুব রহমান। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রভাব কতটা পড়বে?
উত্তর: উনি স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে যতটুকু কাজ করেছেন, তাতে ত্রুটি দেখিনি। করোনার সময় যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতেও খামতি দেখিনি। ব্যক্তিগত ভাবে কোথায় কী করেছেন, আমার দেখার দরকার নেই।
প্রশ্ন: গত পাঁচ বছরের সাফল্য?
উত্তর: কেন্দ্রের প্রকল্প এখন ১০০ শতাংশ কার্যকর হয়। রাজ্যের প্রকল্প ছেড়েই দিলাম। বন্যা মোকাবিলা থেকে কৃষি— সব ক্ষেত্রে উন্নতি মানুষ দেখেছেন। প্রতি বুথ ধরে, পঞ্চায়েতে তদারকি করে জেলা পরিষদ সব কাজ করেছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারে মা-বোনেরা নির্ভরতা পেয়েছেন।
প্রশ্ন: রূপশ্রী-কন্যাশ্রী সত্ত্বেও নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা রয়ে যাচ্ছে।
উত্তর: জনসংখ্যা বড় সমস্যা। যে পরিকাঠামো থাকলে জনে জনে ধরে ধরে সচেতনতা বাড়ানো যায়, সেটা নেই। প্রয়োজন জন-সচেতনতা।
প্রশ্ন: আরামবাগ মহকুমায় বন্যা বড় সমস্যা। এর হাত থেকে নিস্তার মিলবে?
উত্তর: একদম। বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানে নদীর পলি তোলা হয়েছে। দামোদর, মুণ্ডেশ্বরীর জলধারণ ক্ষমতা বেড়েছে। দ্বারকেশ্বরের পাড় বাঁধার কাজ চলছে। আগামী দু’-তিন বছরে কাজ আরও পাকাপোক্ত হবে।
প্রশ্ন: সর্বত্র পানীয় জলের সঙ্কটমুক্তি কবে?
উত্তর: ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পে আগামী বছরের মধ্যেই সব বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। যে কোনও প্রারম্ভিক প্রকল্পের সূচনায় আমাদের সাফল্য ৮০-৯০ শতাংশ। দু’-তিন বছর পরে ১০০ শতাংশ ছুঁয়ে যায়।
প্রশ্ন: গঙ্গাভাঙন রোধে কী ভাবনা?
উত্তর: জেলা পরিষদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ৭০০-৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প কেন্দ্রে পাঠানোর কথা হয়েছিল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে।
প্রশ্ন: বাড়ি, শৌচাগার তৈরির প্রকল্প হোক বা আমপান পরবর্তী পুনর্গঠন, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতির প্রচুর অভিযোগ। জনসমর্থন পাবেন?
উত্তর: বিরোধীদের সেই অর্থে কাজ নেই। তারা ত্রুটি-বিচ্যুতি খোঁজে। ২০২১ সালেও তো এমন নানা কথাবার্তা বলেছিল। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রশ্ন: সিঙ্গুরের জেলায় শিল্প এল না। বিভিন্ন প্রকল্পের ভরসায় জিতেই সন্তুষ্টি?
উত্তর: সেটা বলছি না। আমাদের সরকার তৃতীয় বার ক্ষমতায়। পরিকাঠামো ছাড়া হঠাৎ শিল্প হয় না। সে জন্য সময় লাগে। সেই পরিকাঠামো ক্রমশ তৈরি হয়েছে। ল্যান্ডব্যাঙ্ক হয়েছে। হুগলিতে রাস্তাঘাটের পরিকাঠামো হয়েছে। কল-কারখানা করতে গেলে এগুলোও লাগে।
প্রশ্ন: তিন স্তরেই এত নতুন প্রার্থী। পুরনোদের প্রতি দলের ভরসা হারানো, না কি দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতি বার্তা?
উত্তর: এটা দলীয় নেতৃত্বের ব্যাপার।
প্রশ্ন: এ বার সভাধিপতি পদ সংরক্ষিত। কী ভাবে মানিয়ে নেবেন?
উত্তর: আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। আমার থেকে দলের যা প্রত্যাশা, তা-ই করব। পদ নিয়ে ভাবিত নই।
সাক্ষাৎকার: প্রকাশ পাল