উত্তরা সিংহ হাজরা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্ন: পাঁচ বছরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে কতটা সফল জেলা পরিষদ?
উত্তর: রাস্তা, পানীয় জল, স্বাস্থ্যের কাজ তো প্রায় পুরোটাই শেষ। টুকটাক কিছু কাজ বাকি। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা না হলে সেগুলোও হয়ে যেত।
প্রশ্ন: নিজের কাজে সন্তুষ্ট?
উত্তর: আমি এই নিয়ে দু’দফা সভাধিপতি আছি। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে কেন্দ্রের বরাদ্দ কম থাকায় অনেক কাজেই ব্যাঘাত ঘটে।
প্রশ্ন: কিন্তু জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রীই তো কাজ নিয়ে আপনাকে ধমক দিয়েছিলেন?
উত্তর: দিদি আমাদের অভিভাবক। কাজে ভুলত্রুটি থাকলে উনি তো ধরিয়ে দেবেনই। তাঁর ধমক আমার কাছে আশীর্বাদসম।
প্রশ্ন: এই জেলায় উন্নয়নের অর্থ পড়ে থাকে বলে অভিযোগ আছে।
উত্তর: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দে এমন কিছু মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া ছিল, যাতে ঠিকঠাক কাজ করতে গতি কমে যায়। পরে অবশ্য সামলানো গিয়েছে।
প্রশ্ন: সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন?
উত্তর: ৩৪ বছরে বামেরা কিছুই করেনি। বিজেপিও ভাঁওতা দিয়েই চালাচ্ছে। জেলার মানুষ জানেন, কাদের আমলে সত্যি কাজ হয়েছে।
প্রশ্ন: তা হলে ‘দিদির দূতদের’ বিক্ষোভে পড়তে হল কেন?
উত্তর: আমাদের জেলায় তেমন বিক্ষোভ হয়নি। তবু বলব, মানুষের চাহিদা তো বাড়তেই থাকে। সব ক্ষেত্রে কাজ হলেও মানুষের চাহিদা বেড়েছে। সেই চাহিদার কথা মানুষ ‘দিদির দূত’ বা আমাদের বলেন। এটা ক্ষোভ না বলে পরামর্শ বলব।
প্রশ্ন: চারদিকে দুর্নীতির নালিশ— নিয়োগ থেকে আবাস, একশো দিনের কাজ। দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দলের অনেক নেতা-মন্ত্রী জেলে। মানুষকে কী জবাব দেবেন?
উত্তর: এ সব এখনও প্রমাণ হয়নি। যেহেতু সব অভিযোগই বিচারাধীন, তাই কিছু বলছি না। তবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। সেটা কাজে করেও দেখিয়েছেন।
প্রশ্ন: ‘কাটমানি’ নিয়ে একসময় মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত বলতে শোনা গিয়েছিল। এতে কাজের মান তো খারাপ হয়?
উত্তর: কাটমানি নিয়ে অভিযোগ ওঠায় কড়া পদক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি উন্নয়নে এ সব বরদাস্ত করেন না। উন্নয়নের কাজে মান খারাপ হোক, চায় না জেলা প্রশাসন।
প্রশ্ন: কোন কাজ প্রতিশ্রুতি মতো করে উঠতে পারেননি?
উত্তর: কেন্দ্রের জন্য আমরা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ঠিক মতো করতে পারছি না। তাও মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টায় ঘাটালে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে।
সাক্ষাৎকার: রূপশঙ্কর ভট্টাচার্য