বাসের অপেক্ষায়। ছবি পিটিআই।
পুজো এগিয়ে আসায় নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন অনেককেই শহরে আসতে হচ্ছে। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই গণপরিবহণের বেহাল দশার কারণে ঘরমুখী জনতাকে নাজেহাল হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি, মেট্রো পরিষেবা শুরু হলেও পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি বলে অভিযোগ যাত্রীদের একাংশের। বেহালার বাসিন্দা সঞ্চারী ঘোষ বলেন, ‘‘ বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে মেট্রোয় ই-পাস পেতে হিমশিম খাচ্ছি। আগের দিন বুক করে না-রাখলে কোনও পাস পাওয়া যাচ্ছে না। " শহরতলির ট্রেন চালু না-হওয়ায় সরকারি, বেসরকারি বাসের চাহিদা অস্বাভাবিক। সপ্তাহের কাজের দিনে শ্রীরামপুর, হিন্দমোটর, ব্যারাকপুর, দমদম, ডানলপ, বারাসত, বারুইপুর, সোনারপুর, আমতা-সহ একাধিক জায়গায় ফিরতে গিয়ে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সোনারপুর, বারুইপুর থেকে যাঁরা কাজের প্রয়োজনে দক্ষিণ কলকাতায় আসেন, প্রায়ই সেই যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়ছে যাদবপুর, বাঘাযতীন, বালিগঞ্জের মতো স্টেশনে। রেল কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট ট্রেনে ওঠা নিয়ে প্রায়ই রেলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বচসা বাধছে তাঁদের। সোমবার সন্ধ্যায় যাদবপুর স্টেশনেই দেখা গিয়েছে এমন ছবি। ধর্মতলা এবং বিবাদী বাগ চত্বরে এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া হাঁকতে দেখা গিয়েছে বাইক ট্যাক্সি, হলুদ ট্যাক্সি এবং ক্যাবকে। পুজোর আগে লোকাল ট্রেন চালু করতে না-পারলে পরিবহণের এই সঙ্কট কাটবে না বলেই মনে করছেন যাত্রীরা। লোকাল ট্রেন চালু হলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে, যে ভাবে ভিড় বাসে, বা ভাড়া গাড়িতে যাতায়াত করতে হচ্ছে, তাকে কোনও ভাবেই সুরক্ষিত মনে করছেন না শহরতলির যাত্রীরা। ফলে বাসের ঘাটতি মেটাতে অবিলম্বে শহরতলির ট্রেন চালুর দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। সরকারি, বেসরকারি অফিস খুলে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁদের বলে অভিযোগ।