২০২৪ সালের লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ সক্রিয় হচ্ছেন মমতা। ফাইল চিত্র।
গত শুক্রবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বৈঠক করতে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। আগামী বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়ক। ঠিক তার পর দিন শুক্রবার কলকাতায় নিজের বাসভবনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার পুত্র এইচডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বর রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। সেই বৈঠক শেষ হলেই জেডি (এস) নেতা কুমারস্বামী আসবেন মমতার কালীঘাটের বাসভবনে। সেখানেই বৈঠক হবে দুই নেতার। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ সক্রিয় হচ্ছেন মমতা। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরির চেষ্টা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও ২ মার্চ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে একক ভাবে লড়াই করবে তাঁর দল। তবে জাতীয় স্তরে সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েই চলতে চায় তৃণমূল। তাই কলকাতায় দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাড়িতে এসে বৈঠক করে জোটবদ্ধ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছেন অখিলেশ। নবীন আবার এক সময় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র অংশ ছিলেন। এখন তিনিও বিজেপি শিবিরে নেই। তাই সেই নবীনকেও বিজেপি বিরোধী শিবিরে সামিল করতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা। আর কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ বার কলকাতায় এসে মমতার সেই উদ্যোগের অংশ হতে চাইছেন কুমারস্বামী। আগামী এপ্রিল মাসেই কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে মমতার সমর্থন পেতেও আবেদন করতে পারেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে তৃণমূলের ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’-র স্লোগান দিয়ে যে সমাবেশ হয়েছিল তাতেও হাজির ছিলেন কুমারস্বামী।