ফাইল চিত্র।
কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় আড়াইশো শয্যার দু’টি ডিআরডিও হাসপাতাল শুরু হতে চলেছে রাজ্যে। মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় ওই দু’টি হাসপাতালের জন্য পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে ৪১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। বিশেষ হাসপাতালের পরিকাঠামোগত কিছু কাজে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারও সহায়তা করবে। লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী প্রথমে চিঠি লিখে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে অন্য রাজ্যের মতো এ রাজ্যেও ডিআরডিও হাসপাতাল এবং অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই দুই জেলায় হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধীরবাবু দাবি করেছিলেন, মুর্শিদাবাদে রোগীর চাপ এবং চিকিৎসা পরিকাঠামোর অপ্রতুলা মাথায় রেখে ওই জেলায় হাজার শয্যার কোভিড হাসপাতাল তৈরি করে দিক ডিআরডিও। সিবিআই প্রধান বাছাই নিয়ে বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। তার পরে ডিআরডিও-র প্রতিনিধিদল বহরমপুরে পরিদর্শনে এসে জানায়, ৫০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা যেতে পারে। জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা জানান, ওখানে ২৫০ শয্যার বন্দোবস্ত করা যেতে পারে। তার পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি নদিয়ার কল্যাণীতে ২৫০ শয্যার দু’টি কোভিড হাসপাতাল তৈরি হবে। বহরমপুরে ডিআরডিও-র অক্সিজেন প্ল্যান্টও হচ্ছে।
নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পিএম কেয়ার্স তহবিলের সাহায্যে ২৫০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল গড়ার জন্য কল্যাণীতে ইউনাইটেড ব্রিউয়ারিজ়ের উল্টো দিকে রাজ্য সরকারের তিন একর জমি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে সেখানে শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ পরিকাঠামো তৈরি হবে। জুলাই থেকেই নির্মাণকাজ চালু হয়ে যেতে পারে।
লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘প্রশ্ন তুলেছিলাম, অন্য রাজ্যে ডিআরডিও যখন এই ধরনের হাসপাতাল তৈরি করছে, এ রাজ্যেই বা হবে না কেন? মুর্শিদাবাদে কোভিড হাসপাতাল হলে এক দিকে বীরভূম-সহ একাঝিক জেলার মানুষ উপকৃত হতে পারেন। মুর্শিদাবাদে ৫০০ শয্যা করা যাবে না যখন বলা হল, বিকল্প হিসেবে উত্তরবঙ্গের কোথাও বা নদিয়া জেলার কথা বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কল্যাণীতে আর একটি হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যত দ্রুত হাসপাতাল তৈরি হয়, মানুষের জন্য মঙ্গল।’’
বহরমপুরে রাজ্য সরকারও একটি মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু করেছে। যার সূচনা করেছেন করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এই বিষয়ে বহরমপুরের সাংসদ অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘এই সঙ্কটের সময়ে আমাদের কৃতিত্ব নেওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। কিন্তু একই জায়গায় আরও একটা অক্সিজেন প্ল্যান্ট না করে অন্যত্র করতে পারলে আরও বেশি মানুষের সুবিধা হত।’’