Pension

Pension: আইনি যুদ্ধে পেনশন মিলল ১৭ বছর পরে

ইংরেজির শিক্ষক অম্বিকাবাবু অবসর নেন ২০০৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে তিনি শেষ বেতন পেয়েছিলেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রির বেতনহার অনুযায়ী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২১ ০৭:৩৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অবসরের পরে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১৭ বছর। নানা জটিলতায় এত দিন আটকে ছিল পেনশন। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চলতি অগস্ট থেকে পেনশনের পুরো টাকা পেতে শুরু করেছেন কাঁচরাপাড়ার শ্রী মান্ধারী হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক অম্বিকা প্রসাদ। শুধু যে মাসিক পেনশন চালু হয়েছে তা-ই নয়, গত ১৭ বছরে প্রাপ্য বকেয়া পেনশনের প্রায় ২৭ লক্ষ (সুদ-সহ) টাকাও পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

Advertisement

ইংরেজির শিক্ষক অম্বিকাবাবু অবসর নেন ২০০৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে তিনি শেষ বেতন পেয়েছিলেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রির বেতনহার অনুযায়ী। কিন্তু তিনি উচ্চ ডিগ্রির স্কেলে স্কুল থেকে বেতন পেয়েছেন, এই অভিযোগে তাঁর পেনশন আটকে দেওয়া হয়েছিল।

অম্বিকাবাবু বলেন, “শিক্ষা দফতর থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস পর্যন্ত সব জায়গায় ঘুরেও আমার পেনশন চালু করার ব্যবস্থা করতে পারিনি। অগত্যা ২০০৬ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করি।” অম্বিকাবাবুর আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, ২০০৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মামলা চলে। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় পেনশন চালু করার ও বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারও প্রায় দু’বছর পরে, চলতি মাসের ১ তারিখে চালু হয়েছে অম্বিকাবাবুর পেনশন। সঙ্গে ১০ শতাংশ সুদ-সহ ১৭ বছরের বকেয়া পেনশনের টাকাও পেয়েছেন তিনি।

Advertisement

এক্রামুল বলেন, “ওই শিক্ষক তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে কোনও ডিগ্রি গোপন করেননি বলে বিচারপতি তাঁর রায়ে উল্লেখ করেছেন। যাবতীয় কাগজপত্র ঠিক সময়ে শিক্ষা দফতরে জমাও দিয়েছিলেন তিনি। তা হলে কেন তাঁর পেনশন আটকে রাখা হবে?”

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে পেনশন চালু হওয়ায় অম্বিকাবাবু খুশি। তিনি জানান, পারিবারিক কাজের জন্য এবং শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য গত ১৭ বছরের মাসিক পেনশনের পুরো টাকাটা হাতে পাওয়া খুব দরকার ছিল। এক্রামুল বলেন, “১৭ বছর ধরে পেনশন আটকে থাকায় বকেয়া পেনশন মেটাতে সরকারি কোষাগার থেকে ১০ শতাংশ সুদের মোটা অঙ্কও তো মেটাতে হল। এর দায়ভার কে নেবে?”

শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “এক জন শিক্ষকের সার্টিফিকেট-সহ সব কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, তা তাঁর কর্মকালেই পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। অবসরের পরে পেনশন এ ভাবে আটকে যাওয়া অমানবিক। আধিকারিকদের এই বিষয়ে আরও সজাগ থাকা প্রয়োজন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement