লকডাউনের দিনে বাড়ির বাইরে কেন? পুলিশ ধরতেই ক্ষমাপ্রার্থনা মহিলার। শুক্রবার বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
পুলিশি তৎপরতার সঙ্গে ‘দোসর’ বৃষ্টি। তার জেরে শুক্রবার, সপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও মোটের উপরে ঘরবন্দি রইলেন কলকাতা-সহ রাজ্যবাসী। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু নিয়ম ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে।
এ দিন গড়িয়াহাটে উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়ি আটকায় পুলিশ। চালক নিজেকে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের ‘কর্পোরেট পিএ’ দাবি করেন। পুলিশ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। মদনবাবুও জানান, তাঁর কর্পোরেট পিএ নেই। পুলিশ ঠিক কাজই করেছে।
লালবাজার জানিয়েছে, এ দিন এ ভাবেই বিধিভঙ্গের অভিযোগে ৭৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় বেরোনোয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৪১৮ জনের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে থুতু ফেলায় ধরা পড়েছেন ৩০ জন। আটক হয়েছে ২২টি গাড়ি।
আরও পড়ুন: করোনা-আক্রান্ত ছাত্র, হস্টেল খালি করার নির্দেশ আইআইটিতে
খড়্গপুরের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকারের অনুগামীরা সমাজ মাধ্যমে প্রচার করেন, বিধায়কের উদ্যোগে গণেশ পুজোর জন্য শুক্রবার বিকেল থেকে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। এতে বিভ্রান্তি ছড়ায়। প্রদীপ বলেন, ‘‘শনিবার গণেশ পুজো। তাই প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিলাম।’’ প্রশাসন জানিয়েছে, এমন নির্দেশ জারি হয়নি।
আরও পড়ুন: আমপানের পরে সারানো বাঁধ ফের ভাঙল কটালে
দুই ২৪ পরগনায় দোকানপাট খোলেনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে লকডাউন অমান্য করায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মালদহে গ্রেফতার হয়েছেন ৮০ জন। শিলিগুড়িতে অলিগলিতে কয়েকটি মাছ-মাংসের দোকান খোলা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। গ্রেফতারও হন অনেকে। কোচবিহারের বক্সিরহাটে রাস্তায় বের হওয়া ৬০ জনকে আটক করে করোনা পরীক্ষা করায় পুলিশ। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে কয়েক জনকে পুলিশ কান ধরে ওঠবোস করায় বলে অভিযোগ। পুরুলিয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার ৮৫ জন।