উদ্যাপন: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশাল জাতীয় পতাকায় সাজানো হয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।
স্বল্প দূরত্বের ব্যবধানে ঘটনাচক্রে একই সময়ে পড়ে গিয়েছিল দু’টি কর্মসূচি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে তাদের নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান করার সুযোগ দিয়ে রবিবার রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসে নিজেদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান একটু পিছিয়ে দিল রাজ্য সরকার।
৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ দিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ৭৫০০ বর্গফুটের জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি ছিল। রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানের সময় অনেক আগে থেকে নির্ধারিত থাকলেও ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠান স্থির হয় প্রায় একই সময়ে। জটিলতা এড়াতেই নিজেদের কর্মসূচির সময় আধ ঘণ্টা পিছিয়ে দেয় রাজ্য। কোভিড আবহে স্বল্প দর্শকের উপস্থিতিতে আধ ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয় কুচকাওয়াজ।
প্রতি বছরের মতো এ বারেও রেড রোডে ফোর্ট উইলিয়ামের মুখে গাড়ি থেকে নেমে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে হেঁটেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন সকাল সাড়ে ১০টা। পুলিশ ব্যান্ডে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর পরে অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পতাকা উত্তোলন ও পুলিশের মার্চপাস্ট দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান।
‘অসাধারণ’ কাজের জন্য এ দিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, এডিজি (কারা) পীযূষ পাণ্ডে এবং আইজি (উত্তরবঙ্গ) ডি পি সিংহকে পদক দিয়ে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও সাত জন পুলিশকর্তাকে ‘কমান্ডেবল সার্ভিস’-এর পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
এ দিন মোট ১১টি ট্যাবলো প্রদর্শিত হয় রেড রোডের সরকারি অনুষ্ঠানে। কলকাতা পুলিশ, নেতাজি, ‘বাংলা আমাদের গর্ব’ ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের ঋণ কার্ড, লক্ষ্মীর ভান্ডার, খাদ্যসাথী, দুয়ারে রেশন, দুয়ারে সরকার, খেলা হবে, নতুন কৃষকবন্ধু, জলস্বপ্নের মতো সরকারের কিছু প্রকল্পের ট্যাবলো পথে নামায় রাজ্য। ছোট্ট একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন বাউল শিল্পীরা। পুলিশ ব্যান্ডে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানস্থল থেকে নেতাজি-মূর্তিতে মালা দিয়ে ফিরে যান মমতা।
পরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আমন্ত্রণে প্রতি বছরের মতো রাজভবনের চা-চক্রে যোগ দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও সৌজন্য-সাক্ষাৎ হয় তাঁর। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেখানে উপস্থিত থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।