অধীর চৌধুরী।—ফাইল চিত্র।
মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গের কাজের জেরে ফাটল-কাণ্ডে উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদলকে বৌবাজারে পাঠানোর জন্য রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কাছে দাবি জানালেন লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, ঘনবসতি পূর্ণ এলাকার নীচে দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি হলে তার প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে কোনও ‘ফিসিবিলিটি সার্ভে’ ছাড়াই কী ভাবে কাজ শুরু করে দেওয়া হল? বৌবাজারের মূল রাস্তা ছেড়ে বসতি এলাকায় কেন মেট্রোর রুট সরিয়ে আনা হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
বৌবাজারে গিয়ে দু’দিন আগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছিলেন প্রাক্তন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীরবাবু। তার পরে তিনি ফোনে যোগাযোগ করেন বর্তমান রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। রেলমন্ত্রীকে তিনি বলেন, একের পর এক বাড়ি ধসে পড়ছে। মানুষ ভিটেছাড়া হচ্ছে। এই অবস্থায় রেল মন্ত্রক কী ভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে। রেলের তরফে উচ্চ স্তরের প্রতিনিধিদলকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পাঠানোর দাবি রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি। অধীরবাবুর কথায়, ‘‘ওই এলাকায় এত বাড়ি। পরপর গয়না এবং নানা দোকান। সেই এলাকার নীচে দিয়ে টানেল বোরিং মেশিন চালিয়ে দিলে কী পরিণতি হতে পারে, তার কোনও সমীক্ষা হল না! এই ভাবে কাজ হতে পারে না। সেই জন্যই রেলমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি, অবিলম্বে উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে টিম পাঠান।’’
এরই পাশাপাশি অধীরবাবুর বক্তব্য, প্রথমে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শুরু করেছিল নগরোন্নয়ন দফতর। রেল দফতর পরে সেই কাজের ভার রাজ্য সরকারের হাত থেকে নিয়ে নেয়। লোকসভার কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘তখন রেলমন্ত্রী কে ছিলেন, সকলেই জানেন। আগে ঠিক ছিল, বৌবাজারের মূল রাস্তার তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ হবে। পরে অ্যালাইনমেন্ট বদলে ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় রুট সরিয়ে আনা হল এবং সমীক্ষাও হল না, এই গোটা জিনিসটার পূর্ণ তদন্ত দরকার।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং অধুনা লুপ্ত শিয়ালদহ কেন্দ্রের ৭ বারের বিধায়ক সোমন মিত্রও শুক্রবার বলেছেন, ‘‘মেট্রো রেল এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনাহীনতায় যে ভাবে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন, তার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি করছি।’’