মঙ্গলবার বিকাল তিনটে নাগাদ বগুলা গ্রামে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন অধীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। ওই বাড়িতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা জানান, তাঁরা বাড়িতে নেই।
অধীর চৌধুরী নিজস্ব চিত্র
হাঁসখালিতে নির্যাতিতা নাবালিকার বাডি়তে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তবে দেখা হয়নি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে। তবে ওই পরিবারের সদস্যদের মামলা লড়ার জন্য নগদ অর্থ সাহায্য করেন। আগামী দিনে আইনি লড়াইয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
মঙ্গলবার বিকাল তিনটে নাগাদ বগুলা গ্রামে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন অধীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। ওই বাড়িতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা জানান, তাঁরা বাড়িতে নেই। এর পর পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন অধীর। সেই টাকা তিনি আইনি লড়াইয়ের জন্য কাজে লাগাতে বলেন।
ওই বাডি় থেকে বেরিয়ে প্রদেশ সভাপতি বলেন, ‘‘আমি জানতে পারলাম, নির্যাতিতার বাবা-মাকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তাকে সত্যি প্রমাণিত করা জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’’ পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে অধীর বলেন, ‘‘আমি নির্যাতিতা পরিবারের পাশে থাকব। তাঁরা যত দূর পর্যন্ত লড়াই করতে চান আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকব।’’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে বগুলা গ্রামে যান তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি নির্যাতিতার বাডি়তে যান। অধীর চৌধুরী গ্রাম ছাড়ার পর পরই প্রায় ১৫ জন বিধায়ক নিয়ে গ্রামে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরা মিছিল করে নির্যাতিতার বাড়িতে যান।